নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছাড়িয়ে আনার জন্য ডিবি কার্যালয়ে যাবেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যাবেন তারা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, আমরা মনে করেছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তাদের ছাড়া হয়নি। আজ দুপুর আড়াইটায় আমরা ডিবি কার্যালয়ে যাব। কেন তাদের আটকে রাখা হয়েছে জানতে চাইবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই আল্টিমেটাম দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেছিলেন, আমরা ডিবি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাদের আটক করে আনা হয়েছে, ধরে নেওয়া হয়েছে, সেটা বন্ধ করা ও তাদের যদি নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষ থেকে আরো কঠোর আন্দোলনে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়বো। আজই ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। সেই কর্মসূচি স্থগিত করে সভা থেকে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন পারভিন হক, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা।
তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী যারা গুলি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ও স্বচ্ছ তদন্ত ও সঠিক বিচার হতে হবে।