ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গৌরনদীতে চার ডাকাত গ্রেপ্তার ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হলেও মসজিদ নির্মাণ এগোয়নি কেন? গৌরনদীতে পৃথক তিন স্থানে তিন লাশ উদ্ধার; এলাকায় উৎকণ্ঠা জাহানারা আলমের যৌন হয়রানির অভিযোগ, অস্বীকার অভিযুক্ত মঞ্জুরুলের, বিসিবি কী বলছে? দেশে আসছেন জুবাইদা রহমান, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপ তালাকের পর ফের বিয়ে, যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবিকুন নাহার টালমাটাল যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন বিভাগ, মোট ৯০ বিচারক বরখাস্ত দাপুটে জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

এইচ-১বি ভিসায় বছরে ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি

Songbad somachar
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ সমাচারের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ওয়াশিংটন প্রতিনিধি
বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী আনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে এইচ-১বি ভিসায় বছরে ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। শুক্রবার এ–সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রযুক্তি খাতের জন্য বড় ধাক্কা

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে উঠতে পারে। দেশটির বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভারতীয় ও চীনা কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

চলতি বছরের শুরু থেকে ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন। শুধু অবৈধ অভিবাসন নয়, বৈধ অভিবাসনও সীমিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে তাঁর প্রশাসন। এইচ-১বি ভিসা প্রক্রিয়ায় নতুন কড়াকড়ি যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী কর্মী ভিসা প্রদানের নীতিতে সবচেয়ে বড় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সমালোচনা ও যুক্তি

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “আমাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক হওয়া মার্কিনদের প্রশিক্ষণ দিন, বিদেশ থেকে চাকরি কেড়ে আনার সুযোগ দেবেন না।”

সমালোচকদের মতে, এইচ-১বি ভিসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কম মজুরিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সুযোগ দেয়, ফলে স্থানীয় মার্কিন কর্মীরা বঞ্চিত হন। তবে সমর্থকদের যুক্তি, দক্ষতার ঘাটতি পূরণে ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে এই ভিসা অত্যন্ত প্রয়োজন।

টেসলা সিইও ইলন মাস্ক, যিনি নিজেও প্রথমে এইচ-১বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছিলেন, এর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

নির্বাহী আদেশের প্রেক্ষাপট

ট্রাম্প তাঁর আদেশে উল্লেখ করেন, কিছু নিয়োগকর্তা এইচ-১বি ভিসার সুযোগ নিয়ে মজুরি কমিয়ে মার্কিন কর্মীদের অসুবিধায় ফেলেছেন।

আদেশে বলা হয়, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে প্রায় ২৫ লাখ হয়েছে। অথচ একই সময়ে এ খাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ৪৪.৫ শতাংশ।

উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতায় হুমকি

ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট ডিডি দাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, “নতুন ফি যোগ করার ফলে বিশ্বের সেরা প্রতিভাধররা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত হবে। এতে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সক্ষমতা কমে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, নতুন ফি ছোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপগুলোর জন্য বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, কারণ তাদের অতিরিক্ত কোটি কোটি ডলার খরচ করতে হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এইচ-১বি ভিসায় বছরে ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি

আপডেট সময় : ১১:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ওয়াশিংটন প্রতিনিধি
বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী আনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে এইচ-১বি ভিসায় বছরে ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। শুক্রবার এ–সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রযুক্তি খাতের জন্য বড় ধাক্কা

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে উঠতে পারে। দেশটির বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভারতীয় ও চীনা কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

চলতি বছরের শুরু থেকে ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন। শুধু অবৈধ অভিবাসন নয়, বৈধ অভিবাসনও সীমিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে তাঁর প্রশাসন। এইচ-১বি ভিসা প্রক্রিয়ায় নতুন কড়াকড়ি যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী কর্মী ভিসা প্রদানের নীতিতে সবচেয়ে বড় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সমালোচনা ও যুক্তি

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “আমাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক হওয়া মার্কিনদের প্রশিক্ষণ দিন, বিদেশ থেকে চাকরি কেড়ে আনার সুযোগ দেবেন না।”

সমালোচকদের মতে, এইচ-১বি ভিসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কম মজুরিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সুযোগ দেয়, ফলে স্থানীয় মার্কিন কর্মীরা বঞ্চিত হন। তবে সমর্থকদের যুক্তি, দক্ষতার ঘাটতি পূরণে ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে এই ভিসা অত্যন্ত প্রয়োজন।

টেসলা সিইও ইলন মাস্ক, যিনি নিজেও প্রথমে এইচ-১বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছিলেন, এর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

নির্বাহী আদেশের প্রেক্ষাপট

ট্রাম্প তাঁর আদেশে উল্লেখ করেন, কিছু নিয়োগকর্তা এইচ-১বি ভিসার সুযোগ নিয়ে মজুরি কমিয়ে মার্কিন কর্মীদের অসুবিধায় ফেলেছেন।

আদেশে বলা হয়, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে প্রায় ২৫ লাখ হয়েছে। অথচ একই সময়ে এ খাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ৪৪.৫ শতাংশ।

উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতায় হুমকি

ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট ডিডি দাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, “নতুন ফি যোগ করার ফলে বিশ্বের সেরা প্রতিভাধররা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে নিরুৎসাহিত হবে। এতে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সক্ষমতা কমে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, নতুন ফি ছোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপগুলোর জন্য বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, কারণ তাদের অতিরিক্ত কোটি কোটি ডলার খরচ করতে হতে পারে।