বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরব ভূমিকায় ছিলেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। দেশের যেকোনো বিপদজনক পরিস্থিতিতে এই গায়ক বলিষ্ঠ কণ্ঠে কথা বলেন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অবহেলার শিকার হয়েছেন এই গায়ক। এখন আবার ডাক পাচ্ছেন সঙ্গীতের জন্য।
সম্প্রতি শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে গান গাওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন এই গায়ক। কিন্তু সুযোগ পেয়েও তিনি আর গান গাইবনে না বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানের পর আসিফের কাছে গান গাওয়ার প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি শিল্পী।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়ে আসিফ আকবর ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লেখেন ‘বাংলাদেশ বেতারের একজন কর্মী আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। মেয়েটির বিনয়ী প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই হলো। আরো কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী বেতারে আছেন, যারা বিগত ষোল বছর আমার গান চালাতে চাইতো, পারত না— এখন পারছে।’
আসিফ আকবর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকেও ফোন পেয়েছি। প্রোগ্রাম প্রডিউসার বলেছেন, আপনাকে নিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে চাই। তাকেও বিনয়ের সাথে না করে দিয়েছি। আমি নিকট অতীতে দেখেছি বিটিভিতে আমার গান চলেছে ঠিকই, শুধু নামটি বদলে দিয়েছে।’
বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গান গাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে তিনি বলেন, ‘চব্বিশ বছরের ক্যারিয়ারে (ওয়ান-ইলেভেনসহ) জীবন থেকে চলে গেছে আঠারো বছর। যৌবন পেরিয়ে এখন আমি মধ্যবয়সি। ফাঁকে ফাঁকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গাইতাম, এখন আর গাই না, সেখানেও আর কখনো গাইব না। এসব নিয়ে আর কষ্টও পাই না। দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সেই মাথা ভরা চুল আর নাই, সাদাও হয়ে গেছে কিছু, চোখের দৃষ্টিও ঝাপসা হয়েছে একটু। তবুও রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ আমাকে দেশে থাকতে দেয়ার জন্য।’
সবশেষে গায়ক বলেন, ‘গান গাওয়া আমার পেশা, মঞ্চে গাইব আর অল্প কয়েকটা বছর। কোটি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তাদের সামনে গাইবার ইচ্ছা আছে, নিশ্চয়ই তারাও বঞ্চিত হয়েছেন! বেতার/ বিটিভিতে আমার জায়গায় সুযোগ পাবে অন্য কেউ একজন, সেখানেই আনন্দ খুঁজে নেব।’