রিপাবলিকান সমর্থক টেক্সাসের পরিচিতি রয়েছে রক্ষণশীল অঙ্গরাজ্য হিসাবে। সেখানে, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ও তার পরে গৃহীত আইনে এর প্রতিফলন রয়েছে।
টিনএজারদেরকে নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট না দেখতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিকে বাধ্য করা যাবে না – সম্প্রতি এমনই রায় দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল বিচারক।
এই রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে এরইমধ্যে প্রচলিত ও বিতর্কিত সামাজিক মাধ্যম আইনটির কিছু অংশ প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি হল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
রিপাবলিকান সমর্থক টেক্সাসের পরিচিতি রয়েছে রক্ষণশীল অঙ্গরাজ্য হিসাবে। সেখানকার আইনে, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ও তার পরে গৃহীত আইনে এর প্রতিফলন রয়েছে। আলোচিত সামাজিক মাধ্যম আইন এর অন্যতম।বয়স যাচাইকরণের প্রয়োজনীয়তা ও টিনএজ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানি কেমন আচরণ করবে তার নীতিমালা রয়েছে টেক্সাসের ওই আইনে। আর এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি, যার ফলশ্রুতিতে এই রায়টি এল।
রায়ে বিচারক বলেছেন, “কোনও অঙ্গরাজ্য ঠিক করে দিতে পারবে না তারা কোন কোন আলাপ থেকে অনলাইনে টিনএজারদের দূরে রাখতে চায়।”
এমনকি টেক্সাসের আইনটিতে ব্যবহৃত ভাষারও সমালোচনা করেছেন বিচারক। তিনি বলেছেন ‘গৌরবান্বিত’ ও ‘প্রচার’ এর মতো শব্দ ‘রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত’ ও এর ‘কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই’।
একইসঙ্গে বয়স যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্যবস্তু করে বিজ্ঞাপনের উপর নিষেধাজ্ঞাসহ আইনের অন্যান্য দিকও বাদ দিয়েছেন বিচারক।
এ আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করার সময় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সংগঠন ‘নেটচয়েস’ যুক্তি ছিল, ‘স্কোপ’ আইন ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে হলে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে সংগৃহীত ডেটার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
টেক্সাসে আইনটি পাশ হয়েছিল গত বছর। সম্প্রতি দুটি আইন পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি অঙ্গরাজ্য নিউ ইয়র্ক, যেখানে টিনএজ ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানির ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি অ্যালগরিদমিক ফিডের মতো ‘আসক্তিযুক্ত’ বিভিন্ন ফিচারে প্রবেশ করার জন্য অল্প বয়স্ক ব্যবহারকারীদের মা-বাবার সম্মতির প্রয়োজন হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতারাও সম্প্রতি একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এটি এখনও গভর্নরের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখনও আইনে পরিণত হয়নি।