ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক এক ভিডিও বার্তায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বলেছেন। ডিবি কার্যালয়ে ধারণ করা এই ভিডিও বার্তা আজ রোববার রাত নয়টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
ওই ভিডিও বার্তায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে দেখা যায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার। এটি সরকার ইতিমধ্যে পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’
নাহিদ ইসলামসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাতজন সমন্বয়ককে গত তিন দিনে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্যরা হলেন আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নুসরাত তাবাসসুম (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখার সমন্বয়ক) ও আরিফ সোহেল (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক)। ভিডিও বার্তায় আরিফ সোহেল ছাড়া অন্য ছয় সমন্বয়ককে দেখা গেছে।
গত শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে আসেন সাদাপোশাকের একদল ব্যক্তি। পরে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, তিন সমন্বয়কের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। এরপর গতকাল সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে নিজেদের কার্যালয়ে নিয়ে আসে ডিবি। আজ সকালে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুম ও আরিফ সোহেলকে।