সমাচার ডেস্ক
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ সেটি স্টে অর্ডার ভ্যাকেন্ট করে দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে আর বাধা নেই।
গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর আগে, গত ২২ এপ্রিল ২১ জেলা- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া গৃহীত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলাফলে পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
ওইদিন সকালে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন উত্তীর্ণের সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজার ৫৭ জন। পরে মধ্যরাতে এ ফল প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।