দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করার পরও ফেসবুক পরিষেবা চালু না হওয়ায় হাজার হাজার এফ- কমার্স উদ্যোক্তা বিপাকে রয়েছেন। কারণ এই উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য এবং পরিষেবার জন্য সম্পূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ওপর নির্ভর করেন। মোবাইল ইন্টারনেট এবং মূল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সংযোগ ১০ দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পরও ফেসবুকসহ মেটা পরিষেবাগুলো এখনো দেশে পুনরায় চালু না হওয়ায় এফ-কমার্স (ফেসবুক-কমার্স) উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ বাড়ছে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই- ক্যাব)- এর হিসাব অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরম ফেসবুকে ৫ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির নিজস্ব ব্যাবসায়িক পেজ রয়েছে। দেশে আনুমানিক হিসাবে এফ-কমার্স উদ্যোক্তারা প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ ফেসবুক পেজ চালাচ্ছেন এবং এর মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার পেজে নিয়মিত বেচাকেনা হয়।
উদ্যোক্তারা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিক্রেতার মধ্যে বেশির ভাগই প্রতি সপ্তাহে কম বা বেশি আয় করেন। কিন্তু ফেসবুক বন্ধ থাকায় তাদের আয় নেই বললেই চলে। অর্ডার, হচ্ছে না সরবরাহ। দেশের ই-কমার্স উদ্যোক্তারা জানান, এর প্রভাব শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই যে পড়েছে, তা নয়, এর প্রভাব তরুণ সমাজে আরো প্রকট আকারে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যম দিয়ে দেশবিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও ভালোভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে না অনেকেই। সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী, দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ কোটি
দেশে কয়েক বছরে অনলাইন-নির্ভর কেনাকাটা বেড়েছে কয়েক গুণ। বিশেষ করে, করোনা অতিমারির পর খুব দ্রুত জনপ্রিয় হতে থাকে অনলাইন কেনাকাটা। একটা সংসারের প্রয়োজনীয় সব পণ্যের কেনাকাটায় বেড়েছে অনলাইন-নির্ভরতা। যাতে সাশ্রয় হয় সময়, বাঁচা যায় বাজারে যাওয়া বা দরদামের ঝক্কি থেকে। তবে গত ২৩ টাকার ই-কমার্স বিক্রয়ের মধ্যে এফ-কমার্সের অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ। এর সঙ্গে রয়েছে ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এফ-কমার্স গ্রাহকরা যেহেতু গত ১০ দিন ধরে নতুন অর্ডার পাননি, সেহেতু তৃতীয় পক্ষের লজিস্টিক পরিষেবাগুলো শুধু থমকে গেছে।
জুলাই রাতে দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড সেবা এবং রোববার মোবাইলে ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক। জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হতো কয়েক কোটি টাকার। দেশের সীমা ছাড়িয়ে যা সংযোগ বাড়িয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও। তবে কোটা ইস্যুতে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ধস নেমেছে অনলাইন ব্যবসায়। সরবরাহ বন্ধ, পণ্যের স্তূপ জমে গেছে। এদিকে, পণ্যের জোগান আর বিপণনের সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ এখন উদ্বিগ্ন, কাটাচ্ছেন অলস সময়। আসছে না