সমাচার ডেস্ক
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির জামিনের সময় ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত।। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) শুনানি শেষে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ অন্যরা। পরে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চার আসামির পক্ষে আবেদন করবেন। আদালত শুনানি শেষে ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়ান।
আদালতে ড. ইউনূস বলেন, আমি তো জানি না, আমার ওপর এত রাগের কারণ কী। আমি তো কারো কোনো ক্ষতি করি নাই।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।
পরে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, শ্রমিকদের অর্থআত্মসাতের অভিযোগে দুদকের আরেক মামলায় বিচার চলছে ড. ইউনূসসহ ১৪ আসামির। এছাড়া গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬০ কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকির মামলায় শুনানি চলছে হাইকোর্টে।