ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরের চান্দনা কাঁচাবাজারে আগুন, ৩০–৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই খরা, পানিসংকট ও অবহেলায় হুমকিতে উত্তরাঞ্চলের খাদ্যনিরাপত্তা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ৪১ রোহিঙ্গা। চাকসুর ভোটার তালিকায় আপত্তি জানানোর মেয়াদ বাড়ল ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, দেয়ালে লেখা হত্যার কারণ। প্রকাশ্যে এসে ডাকসুর নির্বাচনী লড়াইয়ে ছাত্রশিবির রাজউকের প্লট জালিয়াতি: শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ যাত্রীবেশে অটোরিকশা চালককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, পালালো দুর্বৃত্তরা প্রায় ৪৮ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করলে চরম সীমা লঙ্ঘন হবে: আরব আমিরাতের হুঁশিয়ারি

ইতিহাসের বৃহত্তম নৌবহর গাজার পথে

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবিক নৌবহর হিসেবে পরিচিত ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সহায়তা পৌঁছাতে যাত্রা শুরু করেছে। স্পেনের বার্সেলোনা বন্দর থেকে ৩১ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রায় ১০০টি জাহাজ নিয়ে এই বহর রওনা হয়। এতে ৪৪টি দেশের ৫০টিরও বেশি জাহাজ যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে তিউনিসিয়া, ইতালি ও গ্রিস থেকেও নতুন জাহাজ যোগ হয়েছে। এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো স্বাগত জানিয়েছে। বহরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ, অভিনেতা লিয়াম কানিংহাম, ডাক্তার, মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা রয়েছেন। তারা গাজার ওপর ইসরাইলি অবরোধের সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান। এই অভিযানে অংশ নেওয়া চারটি প্রধান জোট হলো: গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন, মাগরেব ফ্লোটিলা ও সমুদ্র নুসন্তরা।

নৌবহরটি প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গাজার বন্দরে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে, যা প্রায় ৮ দিন সময় নিবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো গাজার জন্য জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সামগ্রী সরবরাহ করা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরাইলি অবরোধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করা।

তবে অতীতে গাজার উদ্দেশে পাঠানো মানবিক নৌবহরগুলো ইসরাইলি বাহিনীর বাধার মুখে পড়েছে। ২০১০ সালে ‘মাভি মারমারা’ ফ্লোটিলা অভিযানে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছিল। এছাড়া চলতি বছরেই গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বে দুটি নৌবহর আটক করা হয়েছিল। তবে আয়োজকরা আশাবাদী যে এবার আরও সংগঠিতভাবে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

এই মানবিক নৌবহরটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্ববাসীকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইতিহাসের বৃহত্তম নৌবহর গাজার পথে

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবিক নৌবহর হিসেবে পরিচিত ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সহায়তা পৌঁছাতে যাত্রা শুরু করেছে। স্পেনের বার্সেলোনা বন্দর থেকে ৩১ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রায় ১০০টি জাহাজ নিয়ে এই বহর রওনা হয়। এতে ৪৪টি দেশের ৫০টিরও বেশি জাহাজ যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে তিউনিসিয়া, ইতালি ও গ্রিস থেকেও নতুন জাহাজ যোগ হয়েছে। এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো স্বাগত জানিয়েছে। বহরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ, অভিনেতা লিয়াম কানিংহাম, ডাক্তার, মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা রয়েছেন। তারা গাজার ওপর ইসরাইলি অবরোধের সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান। এই অভিযানে অংশ নেওয়া চারটি প্রধান জোট হলো: গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন, মাগরেব ফ্লোটিলা ও সমুদ্র নুসন্তরা।

নৌবহরটি প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গাজার বন্দরে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে, যা প্রায় ৮ দিন সময় নিবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো গাজার জন্য জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সামগ্রী সরবরাহ করা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরাইলি অবরোধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করা।

তবে অতীতে গাজার উদ্দেশে পাঠানো মানবিক নৌবহরগুলো ইসরাইলি বাহিনীর বাধার মুখে পড়েছে। ২০১০ সালে ‘মাভি মারমারা’ ফ্লোটিলা অভিযানে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছিল। এছাড়া চলতি বছরেই গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বে দুটি নৌবহর আটক করা হয়েছিল। তবে আয়োজকরা আশাবাদী যে এবার আরও সংগঠিতভাবে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

এই মানবিক নৌবহরটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্ববাসীকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।