পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারা হেফাজতে মারা গেছেন অথবা রাওয়ালপিন্ডির কারাগার থেকে তাকে গোপনে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে—এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তারা গুজব নাকচ করে বলেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান স্থিতিশীল রয়েছেন, যিনি আদিয়ালা কারাগারেই আছেন।

রাওয়ালপিণ্ডির ওই কারাগারের কর্মকর্তাদের বরাতে জিও নিউজ জানায়, আদিয়ালা কারাগার থেকে ইমরানকে সরানোর খবরের কোনো ধরনের সত্যতা নেই। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, যাকে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।

এনডিটিভি জানায়, ইমরানের তিন বোন নুরিন নিয়াজি, আলিমা খান ও ড. উজমা খান তাদের ওপর শারীরিক আক্রমণের অভিযোগ করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভগ্নিত্রয়ীর ভাষ্য, গত সপ্তাহে ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টার পর কারাগারের বাইরে তাদের ওপর ‘নির্দয়ভাবে’ হামলা চালানো হয়।

তাদের অভিযোগ, তিন সপ্তাহের বেশি সময় চেষ্টা করলেও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি তাদের।

তিন বোনের এসব অভিযোগ অনলাইনে বড় ধরনের গুজবের রসদ জোগায়। এতে ঘি ঢালে আফগানিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন।

ওই খবরে বলা হয়, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ৭২ বছর বয়সী ইমরান খান ‘নির্যাতনের’ শিকার হওয়ার পর মারা গেছেন। তার মরদেহ আদিয়ালা কারাগার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এ গুজব দ্রুতই ভাইরাল হয় এবং ইমরানের নাম দুই দিন ধরে উঠে আসে বৈশ্বিক ট্রেন্ডিং তালিকায়।

এমন বাস্তবতায় ইমরানের দল পিটিআই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতির পাশাপাশি অবিলম্বে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের ব্যবস্থার দাবি জানায়।

পাকিস্তানের ১৯তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দায়িত্ব পালন করেন ইমরান খান। অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগে করা মামলায় ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন এ ক্রিকেট কিংবদন্তি।