সমাচার ডেস্ক
ঈদে যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে ঈদের দিনসহ ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, পচনশীল পণ্য, ওষুধের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স থাকবে আওতামুক্ত। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে শেষে সেতুমন্ত্রী বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে সড়ক-মহাসড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবার। তবে ঈদের সাত দিন আগেই সকল সংস্কার ও মেরামতের কাজ শেষ করে আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঈদযাত্রায় মনিটরিং জোরদার থাকলেও ফেরার সময় ঘাটতি থাকে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চালকদের বাড়তি ট্রিপ দেবার মানসিকতায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গাড়ির ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে, লক্কড় ঝক্কর গাড়িতে রং দিয়ে লাভ নেই। ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে এই বিষয়ে পরিবহণ মালিকদের আহ্বান জানাই। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে সব সময় যানজট লেগে থাকে, জনস্বার্থে তা সমাধান করতে হবে। ঈদে পোশাক কারখানা ছুটি দিলে যানজটের সৃষ্টি হয়, এ বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, রাজধানী থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট ২১৭টি পশুর হাট রয়েছে মহাসড়কের ওপর। যানজটের স্পট হিসেবে, চিহ্নিত স্পট রয়েছে ১৫৫টি। দূরপাল্লার সড়ক-মহাসড়কের সংস্কার কাজ এবং নির্মাণ কাজও চলমান। সামনে কোরবানীর ঈদ। পশু পরিবহন ও ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনা এখন বড় চিন্তার বিষয়।
ঈদের আগে অসময়ে উন্নয়নের নামে রাস্তা খোড়াখুড়ি নিয়ে সমালোচনা করেন। ঈদে চালকদের অস্তিরতায় দুর্ঘটনা বাড়ে। এসবের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার নির্দেশ সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর।
ঈদ যাত্রায় বাসের ভাড়া বাড়ানো যাবে না। প্রয়োজনে গার্মেন্স শ্রমিকসহ অন্যান্য শ্রমিকদের বাড়ি ফেরায় বিআরটিসির বাস নামানোর নির্দেশনা দেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সিএনজি স্টেশনগুলো ঈদের ৭ দিন আগে থেকে এবং ৫ দিন পর পর্যন্ত সারাদিন খোলা থাকবে। এ সময় নো হেলমেট, নো ফুয়েল। মন্ত্রী-এমপির লোক বলেও যেন কেউ পার না পায়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরের পর বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি আমাকে বিব্রত করেছে। এর জন্য সরাসরি দায়ী না হলেও মন্ত্রী হিসেবে সমালোচনা মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে দুর্ঘটনা বাড়ে। দুর্ঘটনা রোধ করা সরকারের দায়িত্ব। দুর্ঘটনা কমানো না গেলে অর্থাৎ ফলাফল পাওয়া না গেলে মিটিংয়ের নামে আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নাই।