কক্সবাজার উপকূলে ইলিশের সঙ্কট, জেলেদের সংসারে দুর্ভোগ

- আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার উপকূলে হঠাৎই ইলিশের দেখা মিলছে না। বঙ্গোপসাগরে ঘন ঘন নিম্নচাপ সৃষ্টি, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া এবং গভীর সাগরে দেশি–বিদেশি ট্রলারের নির্বিচার মাছ শিকারের কারণে জেলেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, পরিবারের ৭০ শতাংশ সদস্য এখন এক বেলাও পেট ভরে খেতে পারছেন না।
জেলেদের হতাশা
বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর জেটিঘাটে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা অন্তত ৭০০ ট্রলার অলস পড়ে আছে। গত শনিবার দুপুরে ট্রলারে বসা জেলেরা—নুর হাসান, আবু তৈয়ুব মাঝি, মো. শফি ও আবদুল কাইয়ুম মাঝি—বলছিলেন, আগে সাগরে জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়া যেত। সেই আয়েই চলত সংসার, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচও মেটানো যেত। এখন সাগর ফাঁকা, কাজ নেই, আয় নেই। তাঁদের প্রশ্ন—“এত ইলিশ হঠাৎ কোথায় গেল?”
বাজারে অল্প ইলিশ, আকাশছোঁয়া দাম
শহরের নুনিয়াছটা ফিশারি ঘাটে বেলা ১১টার দিকে গভীর সমুদ্র থেকে আসা কয়েকটি ট্রলার ভিড়ে। দুটি ট্রলারে ধরা পড়ে মাত্র ৭০ থেকে ১৩০টি ইলিশ, যার ওজন ৮০০–৯০০ গ্রাম। পাইকাররা প্রতি কেজি ২ হাজার ৩০০ টাকায় কিনে নেন। পরে শহরের বাহারছড়া ও কানাইয়ার বাজারে বিক্রি হয় ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়।
অভিজ্ঞ জেলেদের অভিমত
ট্রলারের মাঝি সজীবুল ইসলাম (৫২) বলেন, “১৪ বছর ধরে ইলিশ ধরছি, এমন পরিস্থিতি কখনো দেখিনি। সাগরে আগে এত ঘন ঘন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়নি। এবার আগস্টেই ছয়বার লঘুচাপ হয়েছে, সেপ্টেম্বরে হয়েছে দুইবার। কিন্তু বৃষ্টি হয়নি।”
ফাঁকা পন্টুন, নিরাশ ব্যবসায়ীরা
দুপুরে মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মাছশূন্য পন্টুন পড়ে আছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সকালে সামান্য কিছু মাছ এসেছিল, যার মধ্যে ইলিশ ছিল দুই মণের মতো। বাকিটা সময় ঘাট প্রায় ফাঁকাই থাকে।