ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল ৩ টাকা রেকর্ড সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলের কারাগারে নির্বাচন ঘিরে অস্থিতিশীলতা রোধে সেনাপ্রধানের জরুরি বার্তা নতুন শিরোনাম: আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১২৪, দুর্গম এলাকায় ব্যাহত উদ্ধারকাজ গাইবান্ধায় রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের আগুনে দুর্গাপূজার কয়েকটি প্রতিমা ছাই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করতে ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠনের ইঙ্গিত সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠার নির্দেশ: হাইকোর্টের রায় উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকের সংঘর্ষ, নিহত ১ যশোরে ৭০ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণসহ চোরাকারবারি আটক বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ছক্কা ঝড়: পরিসংখ্যানের ভাষ্য

কর্মস্থলে অনুপস্থিত,প্রধান শিক্ষক এর সহযোগীতায় বেতন ভাতা পাচ্ছেন শিক্ষক বোন ফাতিমা

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরগুনার তালতলী উপজেলার ঝাড়াখালী এসইএস ডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর বোন সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক ফাতিমা আক্তারের বিরুদ্ধে মাসব্যাপী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

 দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রধান শিক্ষকের নীরব সমর্থন এবং আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ স্কুলটির অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠেছে 

​সরল জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা ফাতিমা আক্তার মাসের পর মাস ধরে ক্লাসে অনুপস্থিত।নবম শ্রেণির ছাত্র মো. ছিয়াম আকন সরাসরি জানায়, প্রায় তিন থেকে চার মাস ধরে ফাতিমা ম্যামকে ক্লাসে পাইনি। শুনেছি তিনি নাকি ঢাকায় পরীক্ষা দিতে গেছেন। তিনি আমাদের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষিকা, কিন্তু এখন আমাদের সেই ক্লাসগুলো হয় না। একজন শিক্ষকের এমন দীর্ঘ অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

​শিক্ষিকা ফাতিমা আক্তার প্রধান শিক্ষক মো. আ. লতিফ-এর আপন বোন হওয়ায় এই অনিয়ম যেন আরও প্রশ্রয় পেয়েছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর মোল্লা জানান, ফাতিমা আক্তার দুই মাস ধরে ঢাকায় পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে তিনি শুনেছেন, কিন্তু লিখিত কোনো ছুটির আবেদন আছে কিনা, তা তার জানা নেই। প্রধান শিক্ষক প্রথমে গণমাধ্যমকে তথ্য দিতে অস্বীকার করলেও, পরে মৌখিক ছুটির কথা স্বীকার করেন। লিখিত আবেদন ছাড়া এমন দীর্ঘ ছুটি দেওয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত এবং প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতার অপব্যবহারের দৃষ্টান্ত।

​এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষিকা ফাতিমা আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি, যার ফলে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

​বিদ্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী মো. মাসুম বিল্লাহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন,“প্রধান শিক্ষক আমার কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে আমার নিয়োগ বাতিল করে অন্য একজনকে চাকরি দিয়েছেন। মাসুম বিল্লাহ তার ভিটেমাটি বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলেন এবং এখন তিনি নিঃস্ব। তিনি তার চাকরি ফিরে পেতে চান।

​এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, আমি এর আগে অভিযোগ পাইনি। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এখন দেখার বিষয়, কর্তৃপক্ষের এই কঠোর ব্যবস্থা শুধু মুখের কথায় সীমাবদ্ধ থাকে, নাকি সত্যি কোনো দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “কর্মস্থলে অনুপস্থিত,প্রধান শিক্ষক এর সহযোগীতায় বেতন ভাতা পাচ্ছেন শিক্ষক বোন ফাতিমা

  1. এটা আমাদের এলাকার ই বিদয়ালয়। প্রধান শিক্ষক লতিফ স্যার। এই রকম অনিয়ম করেই যাচ্ছে। স্কুল টাকে হোস্টেল বানিয়ে রাখছে। আমরা এর বিচার চাই।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কর্মস্থলে অনুপস্থিত,প্রধান শিক্ষক এর সহযোগীতায় বেতন ভাতা পাচ্ছেন শিক্ষক বোন ফাতিমা

আপডেট সময় : ০৬:০৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

বরগুনার তালতলী উপজেলার ঝাড়াখালী এসইএস ডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর বোন সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক ফাতিমা আক্তারের বিরুদ্ধে মাসব্যাপী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

 দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রধান শিক্ষকের নীরব সমর্থন এবং আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ স্কুলটির অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠেছে 

​সরল জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা ফাতিমা আক্তার মাসের পর মাস ধরে ক্লাসে অনুপস্থিত।নবম শ্রেণির ছাত্র মো. ছিয়াম আকন সরাসরি জানায়, প্রায় তিন থেকে চার মাস ধরে ফাতিমা ম্যামকে ক্লাসে পাইনি। শুনেছি তিনি নাকি ঢাকায় পরীক্ষা দিতে গেছেন। তিনি আমাদের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষিকা, কিন্তু এখন আমাদের সেই ক্লাসগুলো হয় না। একজন শিক্ষকের এমন দীর্ঘ অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

​শিক্ষিকা ফাতিমা আক্তার প্রধান শিক্ষক মো. আ. লতিফ-এর আপন বোন হওয়ায় এই অনিয়ম যেন আরও প্রশ্রয় পেয়েছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর মোল্লা জানান, ফাতিমা আক্তার দুই মাস ধরে ঢাকায় পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে তিনি শুনেছেন, কিন্তু লিখিত কোনো ছুটির আবেদন আছে কিনা, তা তার জানা নেই। প্রধান শিক্ষক প্রথমে গণমাধ্যমকে তথ্য দিতে অস্বীকার করলেও, পরে মৌখিক ছুটির কথা স্বীকার করেন। লিখিত আবেদন ছাড়া এমন দীর্ঘ ছুটি দেওয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত এবং প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতার অপব্যবহারের দৃষ্টান্ত।

​এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষিকা ফাতিমা আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি, যার ফলে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

​বিদ্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী মো. মাসুম বিল্লাহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন,“প্রধান শিক্ষক আমার কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে আমার নিয়োগ বাতিল করে অন্য একজনকে চাকরি দিয়েছেন। মাসুম বিল্লাহ তার ভিটেমাটি বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলেন এবং এখন তিনি নিঃস্ব। তিনি তার চাকরি ফিরে পেতে চান।

​এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, আমি এর আগে অভিযোগ পাইনি। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এখন দেখার বিষয়, কর্তৃপক্ষের এই কঠোর ব্যবস্থা শুধু মুখের কথায় সীমাবদ্ধ থাকে, নাকি সত্যি কোনো দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।