ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকৃবিতে হল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ছয় দফা দাবি শিক্ষার্থীদের সেন্ট মার্টিনের ১৮ বাংলাদেশি জেলে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হাতে অপহৃত চবি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের পর ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ, সুনসান পরিবেশ আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫০০; আহত সহস্রাধিক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১০ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল, পরে আবার চালু ডাকসু নির্বাচন: শতবর্ষে মাত্র ৩৭ বার, স্বাধীনতার পর ৭ বার। মেসির ইন্টার মায়ামিকে স্তব্ধ করে লিগস কাপের চ্যাম্পিয়ন সিয়াটেল, ৩-০ গোলে হার জুলাই গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আজ দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ, হাজির সাবেক আইজিপিও মাগুরার সাবেক এমপি শিখরের ভাই আশরাফুজ্জামান চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার। উত্তর–দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বন্দ্বে মর্গে জমছে বেওয়ারিশ লাশ

কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজে পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ সংবাদ দাতা।
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের নারী কর্মচারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ দীর্ঘদিন গোপন থাকলেও বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক নারী নিজ বাড়িতে সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগের সারমর্ম

নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, তিনি আউটসোর্সিং ভিত্তিতে প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টের ক্যাশ কাউন্টারে চাকরি করছেন। তিনি জানান, পরিচালক নিয়মিত তাকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠাতেন এবং যাওয়ার পর অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলতেন। ভুক্তভোগী বলেন, তাকে চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হতো এবং প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত ও আর্থিক সুবিধা নিতেন।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ডাঃ হেলিশ তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রস্তাব দেন এবং বাধ্য করার জন্য বিকাশের মাধ্যমে অর্থ দেন। তিনি উল্লেখ করেন, “তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছেন, বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন, আমার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন এবং চাকরিতে থাকতে আমাকে মানসিক চাপ দিয়েছেন।”

নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সরকারি হাসপাতালে বিতরণের জন্য রাখা টিকেটও তিনি টাকা দিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন এবং সেই সমস্ত টাকা পরিচালক নিজে আত্মসাৎ করেছেন।

কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পরিচালক ডাঃ হেলিশ রঞ্জন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনে কোনো মন্তব্য করেননি। কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ অভিজিত শর্ম্মা জানান, তার কাছে এখনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিশ্লেষণ

ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই কর্মকাণ্ডে চাকরিজীবী নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের সমস্যা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশেষ করে হাসপাতালের একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্তৃক এই ধরনের আচরণ নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ এবং প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজে পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের নারী কর্মচারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ দীর্ঘদিন গোপন থাকলেও বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক নারী নিজ বাড়িতে সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগের সারমর্ম

নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, তিনি আউটসোর্সিং ভিত্তিতে প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টের ক্যাশ কাউন্টারে চাকরি করছেন। তিনি জানান, পরিচালক নিয়মিত তাকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠাতেন এবং যাওয়ার পর অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলতেন। ভুক্তভোগী বলেন, তাকে চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হতো এবং প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত ও আর্থিক সুবিধা নিতেন।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, ডাঃ হেলিশ তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রস্তাব দেন এবং বাধ্য করার জন্য বিকাশের মাধ্যমে অর্থ দেন। তিনি উল্লেখ করেন, “তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছেন, বন্দুকের ভয় দেখিয়েছেন, আমার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন এবং চাকরিতে থাকতে আমাকে মানসিক চাপ দিয়েছেন।”

নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সরকারি হাসপাতালে বিতরণের জন্য রাখা টিকেটও তিনি টাকা দিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন এবং সেই সমস্ত টাকা পরিচালক নিজে আত্মসাৎ করেছেন।

কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পরিচালক ডাঃ হেলিশ রঞ্জন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনে কোনো মন্তব্য করেননি। কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ অভিজিত শর্ম্মা জানান, তার কাছে এখনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিশ্লেষণ

ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই কর্মকাণ্ডে চাকরিজীবী নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের সমস্যা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশেষ করে হাসপাতালের একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্তৃক এই ধরনের আচরণ নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ এবং প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।