গোপালগঞ্জে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী (দিদার) নিহত হওয়ার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া এলাকার বাঁকাদ্দেছ চৌধুরীর ছেলে ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলিমুজ্জামান চৌধুরী (৫০) ও ওই এলাকার ইঙ্গুল শেখের ছেলে আওয়ামী লীগের কর্মী সিজার শেখ (৪২)।
গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলা হয়। এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী (দিদার) নিহত এবং আহত হন অর্ধশত নেতা–কর্মী।
ওসি আনিচুর রহমান জানান, হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলা এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আলিমুজ্জামান চৌধুরী ও সিজার শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ওই দুজনকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেদগ্রামে অনুষ্ঠিত এক পথসভা শেষে নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা মাইকিং করে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরে হামলা করেন। এতে জিলানীসহ সংগঠনের অর্ধশত নেতা–কর্মী আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ১০টি গাড়ি। ঘটনাস্থলের অদূরে পাথালিয়া বাংলালিংক টাওয়ারের পাশ থেকে শওকত আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং ৩ জনকে টুঙ্গিপাড়া, ১০ জনকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী রওশন আরা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বাদশা মোল্লাসহ চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।