সমাচার ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে ১৭৪টি টিম। আজ শনিবার (২৫ মে) সকালে সচিবালয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এসব কথা বলেন। এ সময় সাত থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টির শঙ্কা জানিয়ে ভূমিধস নিয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরই প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
পরে প্রতিমন্ত্রী জানান, সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস তাদের সকল প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি হয়ে আছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ভূমিধঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় চার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে ১৭৪টি টিম। স মোকাবিলায় সেনাবাহিনী দায়িত্বে রয়েছে এবং তারা প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে তারা সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ের গতি-প্রকৃতি ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিপদ সংকেত দেখে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে তথ্য কেন্দ্র।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চার হাজার উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাকটি জেলায় খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য, শুকনা খাবার যেগুলো আমাদের দরকার হবে তা মজুদ রেখেছি। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়ারও প্রস্তুতি রেখেছি।
আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার, শিশু ও গো-খাদ্যের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।