ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ: ‘ভাত খেতে গিয়েছিলাম’ বলা সত্ত্বেও গেট খোলেননি দারোয়ান, বললেন সেই ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

​চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এক ছাত্রীর সঙ্গে তার ভাড়া বাসার দারোয়ানের বিবাদ। ওই ছাত্রী দাবি করেছেন, রাতের খাবার খেয়ে ফিরতে দেরি হওয়ায় দারোয়ান তাকে মারধর করেছেন। অন্যদিকে, দারোয়ানের পাল্টা দাবি, ছাত্রীই তাকে প্রথমে থাপ্পড় মেরেছেন।

​ঘটনার সূত্রপাত হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ২ নম্বর গেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। ওই ছাত্রী জানান, রাতে গ্যাসের সিলিন্ডার ফুরিয়ে যাওয়ায় তিনি বাইরে খাবার খেতে গিয়েছিলেন। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি ফিরে এসে দেখেন, গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দারোয়ানকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি গেট খুলতে রাজি হননি।

​ছাত্রীটি জানান, তার রুমমেট নিচে নেমে দারোয়ানের সঙ্গে কথা বললেও দারোয়ান তাকে বলেন, “ওই মেয়েকে ঢুকতে দেব না, ওরে বলো আজকে বাইরে থাকতে।” একপর্যায়ে জোর করে ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে দারোয়ান তাকে ধাক্কা দেন, থাপ্পড় মারেন এবং বুকে ঘুষি দেন। এর প্রতিবাদ জানালে দারোয়ান তাকে পেটে লাথিও মারেন বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।

​এদিকে, মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে দারোয়ানকে খুঁজতে শুরু করেন। এসময় দারোয়ান পালিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়রা হামলা চালায়, যাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

​সংঘর্ষে চবির উপাচার্যসহ প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এবং ১০-১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। বর্তমানে ওই দারোয়ান পলাতক রয়েছেন। ছাত্রীটি এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন এবং বলেছেন, তাকে নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সত্য উদঘাটনের আবেদন জানিয়েছেন।

​ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছেন এবং অনেকে বাসা ছেড়েছেন। ছাত্রীটি আরও জানান, মামলায় দারোয়ানের নাম না দেখে তিনি হতাশ। তিনি আশা করেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ: ‘ভাত খেতে গিয়েছিলাম’ বলা সত্ত্বেও গেট খোলেননি দারোয়ান, বললেন সেই ছাত্রী

আপডেট সময় : ০৫:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

​চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এক ছাত্রীর সঙ্গে তার ভাড়া বাসার দারোয়ানের বিবাদ। ওই ছাত্রী দাবি করেছেন, রাতের খাবার খেয়ে ফিরতে দেরি হওয়ায় দারোয়ান তাকে মারধর করেছেন। অন্যদিকে, দারোয়ানের পাল্টা দাবি, ছাত্রীই তাকে প্রথমে থাপ্পড় মেরেছেন।

​ঘটনার সূত্রপাত হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ২ নম্বর গেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। ওই ছাত্রী জানান, রাতে গ্যাসের সিলিন্ডার ফুরিয়ে যাওয়ায় তিনি বাইরে খাবার খেতে গিয়েছিলেন। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি ফিরে এসে দেখেন, গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দারোয়ানকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি গেট খুলতে রাজি হননি।

​ছাত্রীটি জানান, তার রুমমেট নিচে নেমে দারোয়ানের সঙ্গে কথা বললেও দারোয়ান তাকে বলেন, “ওই মেয়েকে ঢুকতে দেব না, ওরে বলো আজকে বাইরে থাকতে।” একপর্যায়ে জোর করে ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে দারোয়ান তাকে ধাক্কা দেন, থাপ্পড় মারেন এবং বুকে ঘুষি দেন। এর প্রতিবাদ জানালে দারোয়ান তাকে পেটে লাথিও মারেন বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।

​এদিকে, মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে দারোয়ানকে খুঁজতে শুরু করেন। এসময় দারোয়ান পালিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়রা হামলা চালায়, যাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

​সংঘর্ষে চবির উপাচার্যসহ প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এবং ১০-১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। বর্তমানে ওই দারোয়ান পলাতক রয়েছেন। ছাত্রীটি এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন এবং বলেছেন, তাকে নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সত্য উদঘাটনের আবেদন জানিয়েছেন।

​ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছেন এবং অনেকে বাসা ছেড়েছেন। ছাত্রীটি আরও জানান, মামলায় দারোয়ানের নাম না দেখে তিনি হতাশ। তিনি আশা করেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হবে।