ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু,আর্থিক সহায়তা দিল উপজেলা প্রশাসন সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার কক্সবাজারের হত্যা মামলার আসামী কুয়াকাটায় গ্রেফতার পেট্রোলপাম্পে মিথ্যা অপবাদের জেরে হত্যাকাণ্ড রাজবাড়ীতে পুলিশের ওপর হামলায় আরও ৪ আসামি গ্রেপ্তার, মোট ১১ জন আটক আবু সাঈদ হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের জবানবন্দি জয়-পুতুলকে দলীয় নেতৃত্বে আনতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন শেখ হাসিনা ডাকসু নির্বাচন: সব মতের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জোটের স্বপ্নের ক্যাম্পাসের অঙ্গীকার গাজায় নতুন আতঙ্ক: ইসরায়েলের দূরনিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরক যান কক্সবাজার উপকূলে ইলিশের সঙ্কট, জেলেদের সংসারে দুর্ভোগ

জয়-পুতুলকে দলীয় নেতৃত্বে আনতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন শেখ হাসিনা

মো.খালেদ মাসুদ,নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৯৮১ সালের ১৭ মে থেকে একটানা ৪৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন শেখ হাসিনা। তবে এত দীর্ঘ নেতৃত্বের পরও উত্তরাধিকারের পরিকল্পনা বা সাকসেসন প্ল্যান নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে কখনো অবস্থান জানাননি,এমনকি কী ভাবছেন তারও আভাস দেননি।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা ভারতের মাটিতে অতিথি হিসেবে অবস্থান করছেন। তার চলাফেরা,দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ–সব ক্ষেত্রেই কঠোর নিয়ন্ত্রণ আছে। এই অবস্থায় বয়সের তাগিদ ও পরিস্থিতির চাপে তাকে উত্তরাধিকারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। চলতি মাসেই তিনি ৭৮ বছরে পা দেবেন।

সংবাদ সমাচার এর অনুসন্ধান অনুযায়ী,শেখ হাসিনা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন।পাশাপাশি শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিও থাকবেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়।

এ ক্ষেত্রে ভারতের কংগ্রেস দলে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সামনে রেখে যে মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে,শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও সেটাই প্রয়োগ করতে চাইছেন।

সজীব ওয়াজেদ এখন মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা হলেও মায়ের অনুপস্থিতিতে দলের মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা রাখছেন। তিনি গণমাধ্যমে ঘনঘন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। অন্যদিকে সায়মা ওয়াজেদ যেহেতু মায়ের সঙ্গে একই শহরে ও একই সময় অঞ্চলে আছেন, তাই সরাসরি বেশি সহায়তা করতে পারছেন। শেখ হাসিনার ভাষণের খসড়া, কর্মসূচির ক্যালেন্ডার তৈরি থেকে শুরু করে বাইরের দর্শনার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এসব কাজে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন। গত দু’মাসে তিনি একাধিক বৈঠকও করেছেন।

দলের একাধিক সূত্র সংবাদ সমাচারকে নিশ্চিত করেছে, শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে ছেলেমেয়ের ওপরই অনেক দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন বা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জয়-পুতুলকে দলীয় নেতৃত্বে আনতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৬:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১৯৮১ সালের ১৭ মে থেকে একটানা ৪৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন শেখ হাসিনা। তবে এত দীর্ঘ নেতৃত্বের পরও উত্তরাধিকারের পরিকল্পনা বা সাকসেসন প্ল্যান নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে কখনো অবস্থান জানাননি,এমনকি কী ভাবছেন তারও আভাস দেননি।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা ভারতের মাটিতে অতিথি হিসেবে অবস্থান করছেন। তার চলাফেরা,দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ–সব ক্ষেত্রেই কঠোর নিয়ন্ত্রণ আছে। এই অবস্থায় বয়সের তাগিদ ও পরিস্থিতির চাপে তাকে উত্তরাধিকারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। চলতি মাসেই তিনি ৭৮ বছরে পা দেবেন।

সংবাদ সমাচার এর অনুসন্ধান অনুযায়ী,শেখ হাসিনা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন।পাশাপাশি শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিও থাকবেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়।

এ ক্ষেত্রে ভারতের কংগ্রেস দলে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সামনে রেখে যে মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে,শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও সেটাই প্রয়োগ করতে চাইছেন।

সজীব ওয়াজেদ এখন মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা হলেও মায়ের অনুপস্থিতিতে দলের মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা রাখছেন। তিনি গণমাধ্যমে ঘনঘন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। অন্যদিকে সায়মা ওয়াজেদ যেহেতু মায়ের সঙ্গে একই শহরে ও একই সময় অঞ্চলে আছেন, তাই সরাসরি বেশি সহায়তা করতে পারছেন। শেখ হাসিনার ভাষণের খসড়া, কর্মসূচির ক্যালেন্ডার তৈরি থেকে শুরু করে বাইরের দর্শনার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এসব কাজে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন। গত দু’মাসে তিনি একাধিক বৈঠকও করেছেন।

দলের একাধিক সূত্র সংবাদ সমাচারকে নিশ্চিত করেছে, শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে ছেলেমেয়ের ওপরই অনেক দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন বা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।