ডাকসু নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার বড় সাফল্য

- আপডেট সময় : ১১:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে জাতির জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হওয়া এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনকে সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি ছিল সরকারের একটি টেস্ট কেস। নির্বাচনকে ঘিরে রাজবাড়ীর ঘটনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা জনগণকে উদ্বিগ্ন করেছিল। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়; সারাদেশের পরিস্থিতি এখানে প্রভাব ফেলে।
তবুও শেষ পর্যন্ত ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনগুলোর মধ্যে এবারের নির্বাচনকে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উৎসবমুখর বলা হচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন ছিল ব্যাপক সমালোচিত, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
কিন্তু এবারের নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে নীতিনির্ধারণী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুস্পষ্টভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর ফলে প্রমাণ হলো— সরকার নিরপেক্ষ থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুস্থ গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ তৈরি হয়।
কে জিতলো বা হারলো তা মুখ্য বিষয় নয়, বরং নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়াটাই ছিল প্রধান সাফল্য। যদি এ নির্বাচন পণ্ড হয়ে যেত, তাহলে জাতীয় নির্বাচন নিয়েও মানুষের সংশয় তৈরি হতো। ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য তা হতো বড় সুযোগ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন প্রমাণ করেছে, বর্তমান সরকার চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম। এই পরীক্ষায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস “এ-প্লাস” পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।