যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এসেছেন। মার্কিন এই প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় এলেও এখনো ভারতে অবস্থান করছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।
ব্রেন্ট নেইম্যান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ব্রেন্টকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম।
ব্রেন্ট নেইম্যান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ব্রেন্টকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম।
ঢাকায় এসে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার কয়েকটি সমন্বিত বৈঠকে অংশ নেবেন।
এবারের সফরে তিনি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশটি কী সহায়তা দিতে পারে, তা নিয়ে কাজ করবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বিস্তৃত ও বহুমুখী আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিদের সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় এবং দ্রুত নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আলোচনার জন্য।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধিদলটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে রোববার সকালে সাক্ষাৎ করবে। এ ছাড়া অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করবে দলটি। পরে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চ করবেন মার্কিন অতিথিরা। পৃথকভাবে দলের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেকনিক্যাল মিটিং করবেন।