ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজ: সি–পুতিন–কিমের উপস্থিতি, চীনের নতুন অস্ত্রের প্রদর্শন দেশীয় উপকরণে আভিজাত্য: থাই এমারেল্ড রেস্তোরাঁর নকশার গল্প প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার উল্টো প্রবণতা, বাড়াতে হবে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ নড়াইলে নিখোঁজের চার দিন পর পুকুর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে একাধিক সরকার আসতে পারে: আসাদুজ্জামান রিপন হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর তিন দিনের রিমান্ডে ট্রাম্পের অভিযোগ: পুতিন, শি এবং কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন ইভটিজিংয়ের দায়ে অটোচালককে ১ বছরের কারাদণ্ড বকেয়া বেতনের দাবিতে কুড়িলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর হতে বাধা নেই

দেশীয় উপকরণে আভিজাত্য: থাই এমারেল্ড রেস্তোরাঁর নকশার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাজারের ভিড় আর ফুডকোর্টের কোলাহল পেছনে ফেলে যখন সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠি, পরিবেশ যেন হঠাৎ পাল্টে যায়। নরম আলো, শান্ত আবহ আর সাজানো–গোছানো পরিসরে ধানমন্ডির ৮/এ–এর থাই এমারেল্ড রেস্তোরাঁ অতিথিকে স্বাগত জানায় এক ভিন্ন অনুভূতিতে।

সাধারণত রেস্তোরাঁর সফলতা নির্ভর করে খাবারের স্বাদ, পরিবেশন ও মূল্যের ওপর। কিন্তু এর আগেই মানুষকে আকৃষ্ট করে এর পরিবেশ ও সাজসজ্জা। থাই এমারেল্ডের নকশায় একসঙ্গে মিশেছে গাম্ভীর্য, নমনীয়তা ও আভিজাত্য। খাবারের মানের পাশাপাশি এর প্রতিটি শাখাই প্রশংসিত হয়েছে অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য।

৩ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের এই রেস্তোরাঁটির নকশা করেছেন আরএমএ আর্কিটেক্টসের প্রধান স্থপতি রাফিয়া মারিয়াম আহমেদ। তিনি জানান, প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই অতিথির মনে রহস্যময় এক অনুভূতি জাগানোর চেষ্টা ছিল তাঁর। চিকন লাইন–তোলা পার্টিশন, আলো-আঁধারি পরিবেশ এবং খোলামেলা জানালার নকশা সেই অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। একই সঙ্গে, অতিথিরা চাইলে আলাদা ও একান্ত (কোজি) পরিবেশও সহজেই পেতে পারেন।

থাই এমারেল্ডের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে, উত্তরায় প্রথম শাখা চালুর মাধ্যমে। শুরু থেকেই নকশায় থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যকে স্থান দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। থাইল্যান্ডে হাতির বিশেষ প্রতীকী ভূমিকার কারণে প্রতিটি শাখাতেই রাখা হয়েছে বড়সড় হাতির ছবি। ধানমন্ডির এই তৃতীয় শাখাতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে—এক কোণে শোভা পাচ্ছে হাতির ছবি।

খাবারের স্বাদের পাশাপাশি দেশীয় উপকরণে সাজানো এই রেস্তোরাঁর নকশাই হয়ে উঠেছে অতিথিদের কাছে আলাদা আকর্ষণের জায়গা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেশীয় উপকরণে আভিজাত্য: থাই এমারেল্ড রেস্তোরাঁর নকশার গল্প

আপডেট সময় : ১১:২৬:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাজারের ভিড় আর ফুডকোর্টের কোলাহল পেছনে ফেলে যখন সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠি, পরিবেশ যেন হঠাৎ পাল্টে যায়। নরম আলো, শান্ত আবহ আর সাজানো–গোছানো পরিসরে ধানমন্ডির ৮/এ–এর থাই এমারেল্ড রেস্তোরাঁ অতিথিকে স্বাগত জানায় এক ভিন্ন অনুভূতিতে।

সাধারণত রেস্তোরাঁর সফলতা নির্ভর করে খাবারের স্বাদ, পরিবেশন ও মূল্যের ওপর। কিন্তু এর আগেই মানুষকে আকৃষ্ট করে এর পরিবেশ ও সাজসজ্জা। থাই এমারেল্ডের নকশায় একসঙ্গে মিশেছে গাম্ভীর্য, নমনীয়তা ও আভিজাত্য। খাবারের মানের পাশাপাশি এর প্রতিটি শাখাই প্রশংসিত হয়েছে অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য।

৩ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের এই রেস্তোরাঁটির নকশা করেছেন আরএমএ আর্কিটেক্টসের প্রধান স্থপতি রাফিয়া মারিয়াম আহমেদ। তিনি জানান, প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই অতিথির মনে রহস্যময় এক অনুভূতি জাগানোর চেষ্টা ছিল তাঁর। চিকন লাইন–তোলা পার্টিশন, আলো-আঁধারি পরিবেশ এবং খোলামেলা জানালার নকশা সেই অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। একই সঙ্গে, অতিথিরা চাইলে আলাদা ও একান্ত (কোজি) পরিবেশও সহজেই পেতে পারেন।

থাই এমারেল্ডের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে, উত্তরায় প্রথম শাখা চালুর মাধ্যমে। শুরু থেকেই নকশায় থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যকে স্থান দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। থাইল্যান্ডে হাতির বিশেষ প্রতীকী ভূমিকার কারণে প্রতিটি শাখাতেই রাখা হয়েছে বড়সড় হাতির ছবি। ধানমন্ডির এই তৃতীয় শাখাতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে—এক কোণে শোভা পাচ্ছে হাতির ছবি।

খাবারের স্বাদের পাশাপাশি দেশীয় উপকরণে সাজানো এই রেস্তোরাঁর নকশাই হয়ে উঠেছে অতিথিদের কাছে আলাদা আকর্ষণের জায়গা।