ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গহীন জঙ্গলে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান: অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার হত্যা মামলার অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল ৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার অনুমোদন, ঠিকানায় অস্তিত্ব নেই অনেকের! প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তারেক রহমান গৌরনদী ও আগলঝাড়ার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জহির উদ্দিন স্বপন! খুব শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আমিরাতে নতুন ভিসা নীতি: এআই বিশেষজ্ঞসহ চার ক্যাটাগরি চালু “পিআরের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে জামায়াত” — কায়সার কামাল শারদীয় পূজা ঘিরে গুজব কমেছে, কঠোর নজরদারিতে এনটিএমসি দোহায় হামলার ঘটনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

দোহারে অবৈধ বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ড্রেজার ধ্বংস

  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ সমাচারের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার দোহার উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিনটি ড্রেজার ধ্বংস ও পাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার নারিশা ও মুকসুদপুর ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসফিক সিবগাত উল্লাহ। এ সময় সেনাবাহিনীর দোহার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর এ কে ওয়াফিজ উদ্দিন আহমেদ ও দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের বিবরণ

পুলিশ সূত্র জানায়, নারিশা ও মুকসুদপুরের ডাকবাংলো এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিনটি ড্রেজার জব্দ করা হয়। পাশাপাশি অসংখ্য পাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে জব্দ ড্রেজারগুলোতে আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

স্থানীয় অভিযোগ

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে পদ্মা রক্ষা বাঁধ ও আশপাশের জমি ধসে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছিল। যদিও উপজেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, রাতের অন্ধকারে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটরা অবৈধভাবে বালু তুলছিল। শুধু মাহমুদপুরের মৈনটঘাট থেকে বিলাশপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত স্থানে বালু উত্তোলন হচ্ছে। নারিশা, নয়াবাড়ী ও মুকসুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানেও একইভাবে ব্যবসা চলছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানের খবর পেয়ে বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান।

প্রশাসনের অবস্থান

অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসফিক সিবগাত উল্লাহ বলেন, “অনুমতি ছাড়া কৃষিজমি বা নদী-জলাশয় থেকে বালু-মাটি তোলা অবৈধ। জনস্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রেক্ষাপট

উল্লেখ্য, সম্প্রতি অবৈধ বালু ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ মাস্টারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দোহারে অবৈধ বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ড্রেজার ধ্বংস

আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকার দোহার উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিনটি ড্রেজার ধ্বংস ও পাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার নারিশা ও মুকসুদপুর ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসফিক সিবগাত উল্লাহ। এ সময় সেনাবাহিনীর দোহার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর এ কে ওয়াফিজ উদ্দিন আহমেদ ও দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের বিবরণ

পুলিশ সূত্র জানায়, নারিশা ও মুকসুদপুরের ডাকবাংলো এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিনটি ড্রেজার জব্দ করা হয়। পাশাপাশি অসংখ্য পাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে জব্দ ড্রেজারগুলোতে আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

স্থানীয় অভিযোগ

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে পদ্মা রক্ষা বাঁধ ও আশপাশের জমি ধসে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছিল। যদিও উপজেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, রাতের অন্ধকারে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটরা অবৈধভাবে বালু তুলছিল। শুধু মাহমুদপুরের মৈনটঘাট থেকে বিলাশপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত স্থানে বালু উত্তোলন হচ্ছে। নারিশা, নয়াবাড়ী ও মুকসুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানেও একইভাবে ব্যবসা চলছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানের খবর পেয়ে বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান।

প্রশাসনের অবস্থান

অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসফিক সিবগাত উল্লাহ বলেন, “অনুমতি ছাড়া কৃষিজমি বা নদী-জলাশয় থেকে বালু-মাটি তোলা অবৈধ। জনস্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রেক্ষাপট

উল্লেখ্য, সম্প্রতি অবৈধ বালু ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ মাস্টারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।