নদীর ঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দু’গুরুপে সংঘর্ষ-গোলাগুলি,আহত-১০
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
পাবনা বেড়া পৌর এলাকার নদীর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ও দখল নিয়ে বিএনপির দুই গুরুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় দশ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর বারোটার দিকে বেড়া পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের বৃশালিখা কোলঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আহতদের তাৎক্ষণিক নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়।
স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেড়া হুরা সাগর নদীর বৃশালিখা এলাকাটি সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর নিজ এলাকা। আগে বৃশালিখা ঘাট নিয়ন্ত্রণ করতো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপির একাংশকে সঙ্গে নিয়ে তারা ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপি নেতা হাসান আলীর নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে মাইকিং করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দেশীয় অস্ত্র লাঠিশোটা নিয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। বারোটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ সংর্ঘষ চলে।
দুই পক্ষের মধ্যেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দশ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে। তবে বেড়া পুরান বাজার নামক বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েজন সংবাদ সমাচার কে জানান, মূলত ঘাট দখল ও চাঁদাবাজি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলছিল। তবে রাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
এ ব্যাপারে বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, আমি শুনেছি দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। যাদের ঘাটে স্বার্থ আছে তারাতারাই মারামারি করেছে। আসেলে এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম হাবিবুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সবই আছে। ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলেই আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।