ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরের চান্দনা কাঁচাবাজারে আগুন, ৩০–৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই খরা, পানিসংকট ও অবহেলায় হুমকিতে উত্তরাঞ্চলের খাদ্যনিরাপত্তা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ৪১ রোহিঙ্গা। চাকসুর ভোটার তালিকায় আপত্তি জানানোর মেয়াদ বাড়ল ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, দেয়ালে লেখা হত্যার কারণ। প্রকাশ্যে এসে ডাকসুর নির্বাচনী লড়াইয়ে ছাত্রশিবির রাজউকের প্লট জালিয়াতি: শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ যাত্রীবেশে অটোরিকশা চালককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা, পালালো দুর্বৃত্তরা প্রায় ৪৮ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করলে চরম সীমা লঙ্ঘন হবে: আরব আমিরাতের হুঁশিয়ারি

নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ৪১ রোহিঙ্গা।

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

​বাংলাদেশের দিকে অনুপ্রবেশের জন্য নাফ নদীর পূর্ব তীরের ফেরানফ্রু গ্রামে অপেক্ষা করছে ৪১ জন রোহিঙ্গা। নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার রাতেই তারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে।

​মিয়ানমারের বুথিডং থেকে দুইটি দলে ভাগ হয়ে মোট ৪১ জন রোহিঙ্গা ফেরানফ্রু গ্রামে পৌঁছেছে। বর্তমানে তারা ওই গ্রামের চারটি আলাদা বাড়িতে অবস্থান করছে। গতকালও একই জায়গায় প্রায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছিল বলে জানা গেছে।

​অনুপ্রবেশের জন্য সম্ভাব্য দুটি পথ চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম পথটি হলো ফেরানফ্রু গ্রাম থেকে রোয়াইঙ্গাধং হয়ে জালিয়ার দ্বীপের উত্তরে বিপি–৮ হ্নীলা রোয়াইঙ্গা খালি পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ। এই পথে আরাকান আর্মি-সমর্থিত স্থানীয় রোহিঙ্গা দালাল এবং বাংলাদেশের দালালরা তাদের সহায়তা করছে।

​দ্বিতীয় পথটি হলো ফেরানফ্রু হয়ে জালিয়ার দ্বীপের দক্ষিণ দিকে বিপি–০৩ শাহপরীর দ্বীপ এলাকা দিয়ে প্রবেশ।

​সূত্রমতে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশে আরাকান আর্মি কোনো বাধা দিচ্ছে না। বরং যারা যেতে চায়, তাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ হাজার কিয়াত (মিয়ানমারের মুদ্রা) নিচ্ছে। সাধারণত, রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নৌকাযোগে তারা মিয়ানমার থেকে নাফ নদীর কাছাকাছি এসে নোঙর করে। এরপর ভোরের দিকে পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করলে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তখন স্থানীয় বাঙালি দালালরা তাদের নিরাপদে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ৪১ রোহিঙ্গা।

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

​বাংলাদেশের দিকে অনুপ্রবেশের জন্য নাফ নদীর পূর্ব তীরের ফেরানফ্রু গ্রামে অপেক্ষা করছে ৪১ জন রোহিঙ্গা। নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার রাতেই তারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে।

​মিয়ানমারের বুথিডং থেকে দুইটি দলে ভাগ হয়ে মোট ৪১ জন রোহিঙ্গা ফেরানফ্রু গ্রামে পৌঁছেছে। বর্তমানে তারা ওই গ্রামের চারটি আলাদা বাড়িতে অবস্থান করছে। গতকালও একই জায়গায় প্রায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছিল বলে জানা গেছে।

​অনুপ্রবেশের জন্য সম্ভাব্য দুটি পথ চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম পথটি হলো ফেরানফ্রু গ্রাম থেকে রোয়াইঙ্গাধং হয়ে জালিয়ার দ্বীপের উত্তরে বিপি–৮ হ্নীলা রোয়াইঙ্গা খালি পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ। এই পথে আরাকান আর্মি-সমর্থিত স্থানীয় রোহিঙ্গা দালাল এবং বাংলাদেশের দালালরা তাদের সহায়তা করছে।

​দ্বিতীয় পথটি হলো ফেরানফ্রু হয়ে জালিয়ার দ্বীপের দক্ষিণ দিকে বিপি–০৩ শাহপরীর দ্বীপ এলাকা দিয়ে প্রবেশ।

​সূত্রমতে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশে আরাকান আর্মি কোনো বাধা দিচ্ছে না। বরং যারা যেতে চায়, তাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ হাজার কিয়াত (মিয়ানমারের মুদ্রা) নিচ্ছে। সাধারণত, রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নৌকাযোগে তারা মিয়ানমার থেকে নাফ নদীর কাছাকাছি এসে নোঙর করে। এরপর ভোরের দিকে পরিস্থিতি নিরাপদ মনে করলে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তখন স্থানীয় বাঙালি দালালরা তাদের নিরাপদে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।