ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল ৩ টাকা রেকর্ড সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলের কারাগারে নির্বাচন ঘিরে অস্থিতিশীলতা রোধে সেনাপ্রধানের জরুরি বার্তা নতুন শিরোনাম: আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১২৪, দুর্গম এলাকায় ব্যাহত উদ্ধারকাজ গাইবান্ধায় রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের আগুনে দুর্গাপূজার কয়েকটি প্রতিমা ছাই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করতে ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠনের ইঙ্গিত সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠার নির্দেশ: হাইকোর্টের রায় উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকের সংঘর্ষ, নিহত ১ যশোরে ৭০ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণসহ চোরাকারবারি আটক বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ছক্কা ঝড়: পরিসংখ্যানের ভাষ্য

নির্বাচন ঘিরে অস্থিতিশীলতা রোধে সেনাপ্রধানের জরুরি বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র, মব সহিংসতা ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের মধ্যেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুত।

সম্প্রতি জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যও জখম হন। এ প্রসঙ্গে আইএসপিআর জানায়, সরকার ‘মব সহিংসতার’ বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে এবং সেনাবাহিনী তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনাপ্রধান বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সম্প্রীতি ও ধর্মীয় আস্থা

সাম্প্রতিক সময়ে সেনাপ্রধান বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান ও উৎসবে বারবার সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি-বাঙালি সবার দেশ—এখানে বৈষম্য বা বিভাজন নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই চূড়ান্ত লক্ষ্য। দুর্গাপূজা, বড়দিন, জন্মাষ্টমী কিংবা বৌদ্ধ বিহারে উপস্থিত থেকে তিনি সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতামত

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে নানা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জায়েদুর রহমান জানান, মব সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করলেও সমন্বয় ও ভুল তথ্য প্রচারের কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল আসছে না। তিনি আরও বলেন, জনগণ সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখে, তাই বাহিনীকে আরও দৃঢ়ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

অন্যদিকে মেজর জেনারেল (অব.) ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী মনে করেন, নির্বাচন ঘিরে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র জোরদার হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু আর্মি-পুলিশ নয়, রাজনৈতিক দল ও সমাজের সব অংশকেই সম্পৃক্ত করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সংকট মোকাবিলা করা। সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান করার মধ্যেও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নির্বাচন ঘিরে অস্থিতিশীলতা রোধে সেনাপ্রধানের জরুরি বার্তা

আপডেট সময় : ১১:০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র, মব সহিংসতা ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের মধ্যেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুত।

সম্প্রতি জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যও জখম হন। এ প্রসঙ্গে আইএসপিআর জানায়, সরকার ‘মব সহিংসতার’ বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে এবং সেনাবাহিনী তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনাপ্রধান বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সম্প্রীতি ও ধর্মীয় আস্থা

সাম্প্রতিক সময়ে সেনাপ্রধান বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান ও উৎসবে বারবার সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি-বাঙালি সবার দেশ—এখানে বৈষম্য বা বিভাজন নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই চূড়ান্ত লক্ষ্য। দুর্গাপূজা, বড়দিন, জন্মাষ্টমী কিংবা বৌদ্ধ বিহারে উপস্থিত থেকে তিনি সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতামত

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে নানা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জায়েদুর রহমান জানান, মব সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করলেও সমন্বয় ও ভুল তথ্য প্রচারের কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল আসছে না। তিনি আরও বলেন, জনগণ সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখে, তাই বাহিনীকে আরও দৃঢ়ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

অন্যদিকে মেজর জেনারেল (অব.) ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী মনে করেন, নির্বাচন ঘিরে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র জোরদার হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু আর্মি-পুলিশ নয়, রাজনৈতিক দল ও সমাজের সব অংশকেই সম্পৃক্ত করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সংকট মোকাবিলা করা। সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান করার মধ্যেও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে।