পরিচ্ছন্ন নেতা ব্যারিস্টার শিহাব ঢাকা-১৯ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান

- আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ত্রয়োদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান । শিক্ষিত, তরুণ ও উদ্যমী এই নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন ।
ব্যারিস্টার শিহাব আশুলিয়া ও সাভারের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় প্রতিদিন ছুটে যাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে । বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খানের পরিবার সামাজিক ও পেশাগত দিক থেকে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অধিকারী । তাঁর দাদা ডা. ছাদেক উদ্দিন খান ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা, পরে সরকারি কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শেষে এলাকায় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন । তাঁর বাবা শাহাব উদ্দিন খান ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা ।
সাভার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগকালে তিনি বলেন, আমি সাভারের সন্তান, জনগণের সেবক হতে চাই। ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। সাভার-আশুলিয়ার জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করাই আমার লক্ষ্য । দল মনোনয়ন দিলে এবং জনগণ ভোটের মাধ্যমে আমাকে সুযোগ দিলে আমি এলাকার দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত বিভিন্ন সমস্যা ও বঞ্চনা দূর করতে কাজ করব ।
ছাত্র জীবন থেকেই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত শিহাব উদ্দিন খান গড়ে তুলেছিলেন ‘চতুর্ভুজ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র’ এবং ‘বৈশাখী ফ্রেন্ডস সোসাইটি’ নামক সংগঠন। এসব সংগঠনের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করতেন তিনি । ছাত্র অবস্থায় ছিলেন তুখোর বিতার্কিক । একজন দক্ষ সংগঠক, সমাজকর্মী এবং আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান সুপরিচিত । জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি । আইনজীবী হিসেবে জনস্বার্থে বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করে সুনাম কূড়িয়েছেন । নিয়মিত বিভিন্ন পলিসি ফোরাম ও টিভি টকশোতে অংশ নিয়ে সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন । ব্যারিস্টার শিহাবের গণসংযোগে তাই তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী-সমর্থকরা আশার আলো দেখছেন । দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পথসভা, উঠান বৈঠক এবং সরাসরি দ্বারে দ্বারে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে।
শিক্ষাজীবনে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন ।সেখানে ছাত্ররাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ।নির্বাচিত হয়েছিলেন ইংরেজি ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে ।পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সিনেট সদস্য (জাতীয়তাবাদী প্যানেল) হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করেছেন । ব্যারিস্টার শিহাব ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী ছাড়াও ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি, ইউনিভার্সিটি অব দি ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড থেকে বার কোর্স সম্পন্ন করে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ‘দি অনারেবল সোসাইটি অব লংকলন্স ইন’ থেকে ‘বার-এট-ল’ ডিগ্রী অর্জন করেন । এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গভার্নেন্স স্টাডিস বিষয়ে মাস্টার্স ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রী অর্জন করেছেন । ব্যারিস্টার শিহাব বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন নিয়মিত আইনজীবী। তিনি সুপ্রীম কোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ।
ব্যারিস্টার শিহাব বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে মিথ্যা মামলার যাতাকলে পিষ্ট বিএনপি ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছেন ।এছাড়া আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন অগ্রভাগে । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত সিনেট নির্বাচনে সম্পূর্ন প্রতিকূল পরিবেশে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন । এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহন ছিল উল্লেখ করার মত। যেকারনে তাকে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় ।
তার ব্যপারে তরুণ ভোটার সীমান্ত হোসাইন বলেন, ব্যারিস্টার শিহাব এর মতো উদ্যোমি ও সৎ প্রার্থী মনোনয়ন পেলে আমরা অবশ্যই তাকে ভোট দেবো।
আরেক ভোটার জুনাইনা বলেন দুর্নীতি ও সন্ত্রাস রুখতে পারবে এমন কাউকে খুঁজলে সাভারে ওনার চাইতে যোগ্য আর কেউ নেই তাই আমার ভোট আমি এমন প্রার্থীকেই দিতে চাই।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, “ঢাকা-১৯ আসনের প্রতিটি মানুষের কাছে আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সততা ও সেবার রাজনীতি পৌছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । আমার লক্ষ্য শুধু এমপি হওয়া নয়, বরং জনগণের প্রকৃত সেবক হওয়া । সাভার-আশুলিয়ার অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে কাজ করে যাওয়াই হবে আমার একমাত্র দায়িত্ব। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা-১৯ আসনে একজন যোগ্য এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে জনাব তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে চাই । সেই লক্ষ্য অর্জনে আমি সবার কাছে সমর্থন ও ভালোবাসা প্রার্থনা করছি