স্পোর্টস ডেস্ক
লিগ পর্বে ১৩ ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত করেছিলো হায়দ্রাবাদ। তবে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় স্থান দখলের সুযোগ ছিলো কামিন্সদের সামনে। পাঞ্জাবকে চার উইকেটে হারিয়ে সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে হায়দ্রাবাদ। তবে দ্বিতীয় স্থান পুরোপুরি নিজেদের দখলে নিতে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে কলকাতা এবং রাজস্থান ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচে রাজস্থান হারলে সরাসরি কলকাতার বিপক্ষে কোয়ালিফাইয়ার খেলার সুযোগ পাবে হায়দ্রাবাদ। সেই ম্যাচে হারলেও ফাইনালে ওঠার আরো একটি সুযোগ পাবে তারা।
আজ রোববার (১৯ মে) আগে ব্যাট করে হায়দ্রাবাদকে ২১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলো পাঞ্জাব। জবাব দিতে নেমে চার উইকেট এবং ৫ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় হায়দ্রাবাদ। এতে হার দিয়ে আইপিএল শেষ হলো পাঞ্জাবের।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দ্রাবাদ। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ইমপ্যাক্ট সাবে খেলতে নামা ট্রাভিস হেড। তবে রাহুল থ্রিপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা।
১৮ বলে ৩৩ রান করে থ্রিপাঠী আউট হলেও ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন অভিষেক। ২৮ বলে ৬৬ রান করে আউট হন এই তরুণ ভারতীয় ব্যাটার। ২৫ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। এরপর শাহবাজকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হেইনরিচ ক্লাসেন। কিন্তু ৬ বলে ৩ রান করে শাহবাজ আউট হলেও ক্লাসেনকে সঙ্গ দেন আব্দুল সামাদ।
শেষ দিকে ২৬ বলে ৪২ রান করে ক্লাসেন আউট হলেও, সামাদের ৮ বলে ১১ রান এবং সানভীর সিংয়ের ৪ বলে ৬ রানে ভর করে চার উইকেট এবং ৫ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় হায়দ্রাবাদ।
পাঞ্জাবের হয়ে আর্শদ্বীপ শর্মা এবং হার্শাল প্যাটেল দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়াও এক উইকেট নেন শাশাঙ্ক সিং।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে আথার্ভা টাইডে এবং প্রাভসিমরান সিং। দুজনের ব্যাট থেকে ৯৭ রান। ২৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন টাইডে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন প্রাভসিমরান।
তিন ব্যাট করতে এসে তাণ্ডব শুরু করে রাইলি রুসো। দুজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে পাঞ্জাব। ১৪ ওভারেই তুলে নেয় ১৫১ রান। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন প্রাভসিমরান। ৪৫ বলে ৭১ রান করেন এই ভারতীয় ব্যাটার।
৪ বলে ২ রান করে রান আউট হন শাশাঙ্ক সিং। তবে ১ রানের জন্য ফিফটি তুলতে পারেননি রুসোও। ২৪ বলে ৪৯ রান করে আউট হন এই প্রোটিয়া ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত জিতেশ শর্মার ১৫ বলের হার না মানা ৩২ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রানের বড় পুঁজি পায় পাঞ্জাব।