বর্তমান গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দেয়ার পর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কোথায় হবে সেটা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবন পরিদর্শন করে তিনি একথা বলেন। এসময় গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে আগামীকালের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তারা।
গণভবন পরিদর্শনের সময় নাহিদ ইসলামের সাথে যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ছিলেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে গণভবন নামে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করা হবে। যেহেতু ৩৬ জুলাই অথবা ৫ আগস্ট গণভবনটি জনগণ জয় করেছে অনেক রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি। আমরা এই জাদুঘরটি শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর বুকে নিদর্শন হিসেবে রাখতে চাই।
তিনি বলেন, এখানে যারা দায়িত্বরত আছেন গণপূর্ত এবং স্থাপত্য বিভাগে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের থেকে আমরা প্রাথমিক পরামর্শ নিয়েছি। এছাড়া ফরমাল কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকালকের মধ্যেই হয়তো কমিটি গঠন হয়ে যাবে।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কোথায় হবে সেটা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান নাহিদ ইসলাম।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ফ্যাসিবাদের নিদর্শন সংরক্ষণ করে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের পর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। স্থপতি ও শিল্পী নিয়ে জাদুঘর নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।