জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচনে এক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কিন্তু অন্তত ৩০ শিক্ষার্থীর একাধিক মনোনয়নপত্র জমা
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে একাধিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও জাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন প্রার্থী কেবল একটি পদে নির্বাচন করতে পারবেন, তবুও কেউ কেউ তিন থেকে চারটি পর্যন্ত পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খসড়া প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গেছে। নির্বাচনে মোট ২৫টি পদে ভোট গ্রহণ হবে। ওই তালিকা অনুযায়ী, জাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৭১ জন শিক্ষার্থী। তবে এর মধ্যে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী দুটি থেকে চারটি পর্যন্ত পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে শুধু এই ৩০ জনই জমা দিয়েছেন অন্তত ৭০টি মনোনয়নপত্র।
খসড়া তালিকায় দেখা গেছে, একজন শিক্ষার্থী সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি হলেন শেখ সাদী হাসান, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং বর্তমানে মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রদলের সভাপতি। এ ছাড়া ভিপি ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে অন্তত ৭ জন এবং জিএস ও এজিএস পদে আরও ৭ জন শিক্ষার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
প্রার্থীদের বড় একটি অংশ ছাত্রদল-সংশ্লিষ্ট। যেমন—
- হামিদুল্লাহ সালমান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ছাত্রদলের সভাপতি, ভিপি, এজিএস ও কার্যকরী সদস্য পদে তিনটি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
- রাসেল আকন্দ, শাখা ছাত্রদলের সদস্য, ভিপি, এজিএস ও সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন।
- মোহাম্মদ রুবেল, শাখা ছাত্রদলের আরেক সদস্য, জিএস, এজিএস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এবং কার্যকরী সদস্যসহ চারটি পদে মনোনয়নপত্র তুলেছেন।
- সাজ্জাদুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা, জিএস ও এজিএস পদে প্রার্থী।
- জহিরুল ইসলাম, শাখা ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক, জিএস, এজিএস, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও পরিবহন সম্পাদকসহ চারটি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
- মেহেদী হাসান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রদলের সভাপতি, জিএস, এজিএস ও কার্যকরী সদস্য পদে তিনটি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থীরা প্রাথমিকভাবে একাধিক পদে মনোনয়নপত্র তুললেও শেষ পর্যন্ত যাচাই–বাছাই শেষে প্রত্যেকে কেবল একটি পদে প্রার্থী হতে পারবেন।