বগুড়া সদর থানাধীন ঠনঠনিয়াস্থ আল-ওহি ন্যাশনাল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।

- আপডেট সময় : ০৭:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
ধর্ষিতার মা জানায়,আমার বড় মেয়ে মোছাঃ জান্নাতি আক্তার(১৩)বগুড়া সদর থানাধীন ঠনঠনিয়াস্থ আল-ওহি ন্যাশনাল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।গত ২৮ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় গাবতলী থানাধীন সুখানপুকুর ভাংঙ্গিরপাড়াস্থ আমার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এমতাবস্থায় ৩০ আগস্ট ২০২৫ ইং বিকাল ৩:০০ ঘটিকার সময় আমার মেয়ে গাবতলী থানাধীন সুখানপুকুল ভাংঙ্গিরপাড়া হইতে নিজ বাড়িতে আসার জন্য সুখানপুকুর সিএনজি স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে বের হয়। পরবর্তীতে আমার মেয়ে বাড়ীতে না ফেরায় আমি আমার বাবার বাড়ী ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ি আশপাশ এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খুজি করি।
খোঁজা খুজি করে আমার মেয়েকে না পেয়ে গত ৩০ আগস্ট ২০২৫ ইং গাবতলী মডেল থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্তে জিডি করি। যাহার জিডি নং-১৫৩৩ তারিখ-৩০ আগস্ট ২০২৫ ইং পরবর্তীতে আমি পুলিশের সহযোগীতায় আমার মেয়ে মোছাঃ জান্নাতী আক্তারকে বগুড়া সদর থানাধীন সাবগ্রাম এলাকা হইতে উদ্ধারপূর্বক আমার মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি যে,আমার মেয়ের মাদ্রাসার পরিচালক আসামী ১।মোঃ জহুরুল ইসলাম (৪১)পিতা-মোঃ গোলাম মোস্তফা, সাং-বেড়াগাড়ি, পোষ্ট-পোয়ালগাছা,থানা শাজাহানপুর,জেলা-বগুড়া আমার মেয়ে মোছাঃ জান্নাতী আক্তারকে ৩০ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখ বিকাল -অনুমান ৩:০০ ঘটিকার সময় গাবতলী থানাধীন সুখানপুকুর ইউপির অন্তর্গত ভাংঙ্গিরপাড়া গ্রাম ভাংঙ্গিরপাড়া জামে মসজিদ এর সামনে হইতে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলি অজ্ঞাতনামা সিএনজি যোগে অপহরণ করিয়া বগুড়া সাবগ্রামস্থ অজ্ঞাত বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে।
আসামী মোঃ জহুরুল ইসলাম বেশ কিছু দিন হইতে আমার মেয়ে মোছাঃ জান্নাতী আক্তার এর মাদ্রাসায় অবস্থান করা কালে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন,বিয়ের প্রস্তাব সহ উত্যাক্ত করিয়া আসিতেছিল,যা এলাকার অনেকে অবগত আছে।
ভিকটিমের মা আরো জানান, আমার স্বামী বাসগাড়ি চালক।সে ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসলে তাহার সহিদ এবং আত্মীয়-স্বজনদের সহিত আলোচনা কি আমার মেয়েসহ থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইলো।