সমাচার ডেস্ক
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার আশঙ্কা থাকায় চলতি মাসের ৩০ তারিখ শুরু হতে যাওয়া উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের যেসব এলাকায় বন্যা হবে সেখানে এই পরীক্ষা স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ বুধবার (৫ জুন) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪ উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পানি সীমার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে অঞ্চলে বন্যা ছড়াবে শুধু সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এবার সব পরীক্ষার্থী (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সকল বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্র সাত লাখ ৫০ হাজার ২৮১ এবং ছাত্রী সাত লাখ ৫০৯ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন।
এ বছর পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দুই হাজার ৭২৫টি। গত বছরের তুলনায় কেন্দ্রে বেড়েছে ৬৭টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২৯৮টি।
করোনা মহামারির কারণে এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার দীর্ঘদিনের সূচি এলোমেলো হয়ে যায়। এই সূচি ধীরে ধীরে আগের ধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার। গত বছর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়েছিলো। কিন্তু পরে তা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়।
জুন মাসের শেষ দিন পরীক্ষা শুরুর তারিখ রেখে গত ২ এপ্রিল চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করে শিক্ষাবোর্ডগুলো। সূচি অনুযায়ী, ৩০ জুন সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের মাধ্যমে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত। ১১ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এবার ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।