সমাচার ডেস্ক
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করার সময় গ্রেপ্তার ১২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার (১২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মামুন রশীদ রতন, রাসেল, হুমায়ুন কবির, আল আমিন, শেখ ফরিদ, আজম মোহাম্মদ, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, শারমিন আক্তার বৃষ্টি, মানিক দাস।
এর আগে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক আল আমিন আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল শনিবার (১১ মে) অবৈধভাবে একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ৫০০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম এলিস মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মামুন রশিদ রতন, মো. রাসেল, হুমায়ন কবির, মানিক দাস, আল আমিন, শেখ ফরিদ, আজম মোহাম্মদ, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাকিম, রিমা আক্তার, শারমিন আক্তার দৃষ্টি, ফাতেমা আক্তার সানজিদা, শরীফুল হাসান শুভ ও খোকনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০০ জন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাজিরুর রহমান জানান, অবৈধভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা ও আত্মহত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বসয়সীমা ৩৫ চাই এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মোড়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আসামিরা সভা ও মিছিল, মিটিং করে। এ দিন তারা টিএসসি থেকে শাহবাগ মোড় ঘেরাও করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন, জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানিসহ আত্মহত্যার স্লোগান ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মিছিল নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসে। পুলিশ তাদের নিবৃত করতে সড়কে লোহার ব্যারিকেড দেয়।
আন্দোলনকারীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের কথা না শুনে ব্যারিকেড ভেঙে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান করে এবং রাস্তায় বসে যান চলাচলে বন্ধ করে দেয়। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বারডেম হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা আটকা পড়ে আর্তনাদ করতে থাকে।
এজাহারে আরো বলা হয়, একপর্যায়ে আন্দোলনকারী একটি বাসে ভাঙচুর করে এবং তাদের কাছে থাকা জীবননাশকারী পদার্থ দাহ্য জ্বালানি দিয়ে আগুন ধরিয়ে উসকানিমূলক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। হ্যান্ড মাইক ও মৌখিকভাবে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা রাস্তা না ছেড়ে ডিউটিরত পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
