বাকৃবিতে হল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ছয় দফা দাবি শিক্ষার্থীদের

- আপডেট সময় : ১০:৫৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আবাসিক হল ছাড়ার নোটিশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আজ সোমবার সকালে পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে কে আর মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। পরে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন তাঁরা।
এর আগে সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেছিলেন। এরপর গতকাল রোববার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে আজ সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
তবে অনেক শিক্ষার্থী হল ছাড়লেও একাংশ আন্দোলনে নেমেছে। তাঁরা ক্যাম্পাসে মিছিল করে ছাত্রী হলের সামনে ও বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “কথায় কথায় হল ছাড়, হল কি তোর বাপ–দাদার”, “ক্যাম্পাসে হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই”, “আমার ভাইকে মারল কেন, বিচার চাই, বিচার চাই” ইত্যাদি স্লোগান।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা আমতলায় জড়ো হয়ে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলো—
১. হল খালি করার নির্দেশনা দুপুর দুইটার মধ্যে প্রত্যাহার,
২. আবাসিক হলগুলোতে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সুবিধা অব্যাহত রাখা,
৩. শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায়ে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ,
৪. হামলার ঘটনায় উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা,
৫. সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও বহিরাগত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি,
৬. সমন্বিত একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান।
শিক্ষার্থীরা দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হক অভিযোগ করে বলেন, “শিক্ষকেরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি।”
তবে উপাচার্য এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা আড়াই শতাধিক শিক্ষক আন্তরিকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছি। কিন্তু তাঁরা শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। বহিরাগত হামলার অভিযোগও সঠিক নয়।”
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয়েছে।