স্পোর্টস ডেস্ক
বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের পথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকা ছেড়েছে নাজমুল শান্তর দল। মার্কিন মুল্লুকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে অংশ নিবে টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে। বিমানবন্দরে দেশবাসী ও সমর্থকদের কাছে দোয়া চেয়েছেন ক্রিকেটাররা।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে বাংলাদেশ যা পারেনি, এবার তা করে দেখাতে চান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য টাইগারদের। স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনার জবাব দিতে চান নাজমুল শান্ত।
বিকল্প থাকলেও লিটনকে বাদ দেবার বিপক্ষে বাংলাদেশ অধিনায়ক। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাবার আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নিয়েছে টিম বাংলাদেশ।
আগের দুই আসরে হয়নি। গেলো বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বিমানবন্দরে কোনো রকম আ্নুষ্ঠানিকতা সাড়ে টিম বাংলাদেশ। তবে এবার অনেকটা গোছানো। কেতাদুরস্ত হয়ে মিরপুরের সবুজ গালিচায় ১৫ ক্রিকেটার, সাথে কোচিং স্টাফের সদস্যরা। ২০১৯ এর মতো বিতর্ক সৃষ্টি করেননি সাকিব আল হাসানও। টিম ফটোশুটে তিনিই যে সবার মধ্যমণি।
দ্বিতীয় দফার ফটোসেশনে অংশ নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সহ বিসিবির একাধিক পরিচালক। ফটোসেশন শেষে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন নাজমুল হাসান। সাহস জুগিয়েছেন, দিয়েছেন ইতিবাচক খেলার বার্তা।
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে যে বার্তা দিলেন শান্ত
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশ্বকাপে শক্তিশালী ‘ডি’ গ্রুপে শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের মতো দলের বিপক্ষে খেলবেন টাইগাররা। নেপাল সহজ প্রতিপক্ষ হলেও গ্রুপের অন্য তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়তে হবে শান্তদের।
প্রতিপক্ষের শক্তি বিবেচনায় প্রথম রাউন্ড বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে। তবে প্রথম রাউন্ডে সফল হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শান্ত। প্রত্যাশনুযায়ী সাফল্যের জন্য ছোট ছোট পরিকল্পনার ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, আমি মনে করি, প্রথম রাউন্ডের বাঁধা টপকাতে হলে আমাদের ছোট ছোট পরিকল্পনা করতে হবে। আমরা শক্ত গ্রুপে আছি। এজন্য বেশ কঠিন হবে। তবে টি-টোয়েন্টিতে ছোট বা বড় দল বলে কিছু নেই। নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলতে পারলে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি।
শান্ত বলেন, গত বিশ্বকাপে আমি দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এই টুর্নামেন্টে আমার ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই। আমি কঠোর পরিশ্রম করছি, অনুশীলনে উন্নতি করছি। আমি আত্মবিশ্বাসী, এই বিশ্বকাপে আমি আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে পারবো। তিনি বলেন, আমাদের পেস বিভাগ অনেক উন্নতি করেছে। বোলিং ইউনিট ভালো করলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টিতে বোলাররা বড় ম্যাচ উইনার। আমাদের স্পিন বোলিংয়ে বৈচিত্র্য থাকায় এমন কন্ডিশনেও ভালো করা উচিত তাদের। সব মিলিয়ে বোলিংই আমাদের শক্তি।
দেশছাড়ার আগে যা বললেন হাথুরুসিংহে
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো করার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো। আমাদের চট্টগ্রামে ভালো ক্যাম্প হয়েছে। আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টেয়েন্টি সিরিজ হয়েছে। এই ম্যাচগুলোতে আমরা সুযোগ দিয়েছি বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে। আমরা কিছু জায়গা এক্সপোজ করছি। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তার জায়গা আছে, তবে এর বাইরে আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমনিতেই বাংলাদেশ ভালো দল নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আট আসর হয়েছে এর আগে। কোনোটিতেই সেভাবে স্মরণীয় পারফরম্যান্স নেই। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপে কি আগের সবগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ?
হেড কোচের উত্তর, ‘হ্যাঁ, প্রতিটা টুর্নামেন্টে আমাদের আগের চেয়ে ভালো করার সুযোগ। হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। আমরা র্যাংকিংয়ে কোথায় আছি, সেটাতেও দেখা যায়। এখানে অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু আমাদের যে প্রস্তুতি, সেটার হিসাবে বলতে পারি- আগের চেয়ে ভালো করার সুযোগ আছে।’