আমাদের আশপাশেই এমন কিছু মানুষ দেখবেন, যাঁরা অনায়াসেই সবার বন্ধু হয়ে যান। সবার প্রিয় হয়ে ওঠার কিংবা সবাইকে অনুপ্রাণিত করার এক রকম জাদুও এই মানুষগুলোর মধ্যে আছে। কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে আপনিও হয়তো ‘কাছের মানুষ’ হয়ে উঠতে পারবেন সহজেই।
মনোযোগ দিয়ে শুনুন
আমরা সাধারণত বলতে পছন্দ করি। কিন্তু অন্যদের কথাও তো শোনা দরকার। যাঁরা অন্যের কথা মন দিয়ে শোনেন, তাঁদের মানুষ পছন্দ করেন। কথায় আছে, ‘কান দুইটা, মুখ কিন্তু একটা’। তাই আগে কথা শুনুন।
সহানুভূতি দেখান
অন্যের অনুভূতি ও দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন। এটা তাঁর সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে উঠবে। মানুষ তাঁকেই পছন্দ করেন, যাঁকে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন।
প্রতিশ্রুতি রাখুন
মার্কিন কবি রবার্ট ফ্রস্ট বলেছেন, ‘তোমার প্রতিশ্রুতিই মানুষের কাছে তোমার মুখের কথার মূল্য নির্ধারণ করবে।’ তাই সব সময় প্রতিশ্রুতি রাখতে চেষ্টা করুন। তাহলে মানুষ আপনাকে পছন্দ করবে।
ইতিবাচক হোন
নেতিবাচকতা কেউ পছন্দ করেন না। সব সময় ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে হবে। এমনকি, যখন কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন, তখনো ইতিবাচক থাকুন। হতাশাবাদ অন্যদের হতাশ করে দেয়। ইতিবাচকতা একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
অন্যকে সম্মান করুন
বলা হয়, ‘সম্মান পেতে হলে আগে সম্মান দিতে হয়’। তাই নিম্নপদস্থ হোক কিংবা উচ্চপদস্থ—সবাইকে সম্মান দিতে হবে। পারস্পরিক সম্মান সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়। ভাববেন না, সম্মান করলে আপনি ছোট হয়ে যাচ্ছেন। বরং এতে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে।
কার্যকরভাবে যোগাযোগ তৈরি করুন
নিজেকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন। আর সবার সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করুন। খুব ভালো যোগাযোগ ভুল-বোঝাবুঝি কমায় এবং সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করে।
সব সময় সাহায্য করুন
যখনই পারবেন, সাহায্য করার চেষ্টা করুন। অন্যকে বোঝান যে আপনি যেকোনোভাবে সাহায্য করতে আগ্রহী। ভালো কাজে উৎসাহ দিন, সমর্থন দিন। এই প্রচেষ্টাগুলো থাকলে লোকে বুঝবে—আপনি তাঁদের মঙ্গল কামনা করেন এবং তাঁদের সাফল্যের বিষয়ে যত্নশীল।
‘রসবোধ’ ব্যবহার করুন
হিউমার বা হাস্যরস এমন এক জিনিস, যা কম-বেশি সবাই পছন্দ করেন। একজন রসবোধসম্পন্ন ব্যক্তি সহজেই অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন। বন্ধন তৈরি করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী হাস্যরস ব্যবহার করুন। তবে কেউ যেন আঘাত না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। হাস্যরসের একটি ভালো অনুভূতি মানুষ সব সময় মনে রাখেন।