ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে চলনবিল ক্ষতির অভিযোগ ভিত্তিহীনঃসংবাদ সম্মেলন।

মোঃ জুবায়ের হাসান, শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়ায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে পৃথক তিনটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং বহলবাড়ি-বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনগুলোতে প্রথমটি হয় সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয়োজনে, দ্বিতীয়টি হয় সাড়ে ১১টায় বহলবাড়ি-বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরামের ব্যানারে এবং তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে।

সংবাদ সম্মেলনে যাঁরা বক্তব্য রাখেন:

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন: নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, জান্নাতুল মাওয়া মুন, চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ইয়াতসিংহ শুভ, চেয়ারম্যান, সংগীত বিভাগ, দেবশ্রী দোলন, প্রভাষক, সংগীত বিভাগ, মানিক আহমেদ, প্রোগ্রামার, গোলাম কিবরিয়া সজিব, কম্পিউটার টাইপিস্ট।

সচেতন নাগরিক ফোরামের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন: মো. আবদুল হান্নান (ডাক্তার), হাজী মোহাম্মদ আলী (সমাজসেবক), মো. জাকির হোসেন (শিক্ষক), মো. মারুফুল ইসলাম (শিক্ষক), মো. শাহজাহান (ফার্মাসিস্ট)

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন: মেরাজ, জাকারিয়া, সাদমান হাসান, মিলন, আজিজ, রায়হান, ইসারুল, জাহিদ, আল-আমিন প্রমুখ (বাংলা বিভাগ)

সংবাদ সম্মেলনের বক্তারা বলেন, “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন নিয়ে যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা আন্দোলন করছে, তখন কিছু সুবিধাবাদী, স্বার্থান্ধ মহল পরিবেশবাদীর ছদ্মবেশে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে বলছে — চলনবিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ গত ৯ বছরে এই বিষয়ে তারা একটি কথাও বলেনি।”

তাঁদের ভাষায়, “এই গোষ্ঠী শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধী নয়, তারা রবীন্দ্রবিরোধী, উচ্চশিক্ষা বিরোধী ও দেশবিরোধী। তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।”

তাঁরা জানান, বুড়ি পোতাজিয়ায় যে স্থানটিতে ক্যাম্পাস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, তা চলনবিল থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে। মাঝখানে রয়েছে বহু গ্রাম, রাস্তা, মসজিদ, স্কুল-কলেজসহ বহু অবকাঠামো। কাজেই চলনবিল ক্ষতির অভিযোগ একেবারেই অমূলক।

তারা আরও বলেন, “আপনারা যদি সত্যিই নদী ও প্রকৃতি ভালোবাসেন, তাহলে নদীর বাঁধ, স্লুইসগেট, ভূমি বেহাত ও অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কথা বলুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতির সঙ্গে মিতালি রক্ষা করেই গড়ে ওঠে। এই প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির সন্তান ও দেশপ্রেমিক জনসম্পদ তৈরি করবে।”

তাঁরা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনারা যদি এই মিথ্যাচার বন্ধ না করেন, তাহলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণ আইনত ও সামাজিকভাবে প্রতিহত করবে।”

বক্তারা বলেন, চলমান আন্দোলনের কারণে টানা ২০ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

আরো পড়ুনঃ  যমুনা সেতু অবরোধ শিক্ষার্থীদের, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ যোগাযোগ বন্ধ

তাদের দাবি, “আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। এই সমস্যার সমাধান কেবল সরকারই দিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান দেখাবে।”

তাঁরা শাহজাদপুরের সর্বস্তরের মানুষ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, যাঁরা এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

আরো পড়ুনঃ http://স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে চলনবিল ক্ষতির অভিযোগ ভিত্তিহীনঃসংবাদ সম্মেলন।

আপডেট সময় : ০৯:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

শাহজাদপুরের বুড়ি পোতাজিয়ায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে পৃথক তিনটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং বহলবাড়ি-বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনগুলোতে প্রথমটি হয় সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয়োজনে, দ্বিতীয়টি হয় সাড়ে ১১টায় বহলবাড়ি-বুড়ি পোতাজিয়া সচেতন নাগরিক ফোরামের ব্যানারে এবং তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে।

সংবাদ সম্মেলনে যাঁরা বক্তব্য রাখেন:

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন: নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, জান্নাতুল মাওয়া মুন, চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ইয়াতসিংহ শুভ, চেয়ারম্যান, সংগীত বিভাগ, দেবশ্রী দোলন, প্রভাষক, সংগীত বিভাগ, মানিক আহমেদ, প্রোগ্রামার, গোলাম কিবরিয়া সজিব, কম্পিউটার টাইপিস্ট।

সচেতন নাগরিক ফোরামের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন: মো. আবদুল হান্নান (ডাক্তার), হাজী মোহাম্মদ আলী (সমাজসেবক), মো. জাকির হোসেন (শিক্ষক), মো. মারুফুল ইসলাম (শিক্ষক), মো. শাহজাহান (ফার্মাসিস্ট)

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন: মেরাজ, জাকারিয়া, সাদমান হাসান, মিলন, আজিজ, রায়হান, ইসারুল, জাহিদ, আল-আমিন প্রমুখ (বাংলা বিভাগ)

সংবাদ সম্মেলনের বক্তারা বলেন, “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন নিয়ে যখন শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা আন্দোলন করছে, তখন কিছু সুবিধাবাদী, স্বার্থান্ধ মহল পরিবেশবাদীর ছদ্মবেশে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে বলছে — চলনবিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ গত ৯ বছরে এই বিষয়ে তারা একটি কথাও বলেনি।”

তাঁদের ভাষায়, “এই গোষ্ঠী শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধী নয়, তারা রবীন্দ্রবিরোধী, উচ্চশিক্ষা বিরোধী ও দেশবিরোধী। তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।”

তাঁরা জানান, বুড়ি পোতাজিয়ায় যে স্থানটিতে ক্যাম্পাস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, তা চলনবিল থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে। মাঝখানে রয়েছে বহু গ্রাম, রাস্তা, মসজিদ, স্কুল-কলেজসহ বহু অবকাঠামো। কাজেই চলনবিল ক্ষতির অভিযোগ একেবারেই অমূলক।

তারা আরও বলেন, “আপনারা যদি সত্যিই নদী ও প্রকৃতি ভালোবাসেন, তাহলে নদীর বাঁধ, স্লুইসগেট, ভূমি বেহাত ও অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কথা বলুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতির সঙ্গে মিতালি রক্ষা করেই গড়ে ওঠে। এই প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির সন্তান ও দেশপ্রেমিক জনসম্পদ তৈরি করবে।”

তাঁরা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনারা যদি এই মিথ্যাচার বন্ধ না করেন, তাহলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণ আইনত ও সামাজিকভাবে প্রতিহত করবে।”

বক্তারা বলেন, চলমান আন্দোলনের কারণে টানা ২০ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

আরো পড়ুনঃ  যমুনা সেতু অবরোধ শিক্ষার্থীদের, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ যোগাযোগ বন্ধ

তাদের দাবি, “আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। এই সমস্যার সমাধান কেবল সরকারই দিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান দেখাবে।”

তাঁরা শাহজাদপুরের সর্বস্তরের মানুষ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, যাঁরা এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

আরো পড়ুনঃ http://স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ।