রাকসু নির্বাচনে প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার: শিক্ষার্থী ও সংগঠনের মতভেদ

- আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিয়ে ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়ছে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছেন।
গত রোববার রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর, তালা ঝুলানো, বিক্ষোভ ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একই আন্দোলন সোমবারও ছাত্রদল প্রশাসন ভবনের সামনে তিন ঘণ্টার মতো অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে চালায়। তফসিল অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে এখনও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুজন ভোট দেওয়ার পক্ষে। তারা বলছেন, ভর্তি হওয়ার সময় রাকসুর ফি জমা দিয়েছেন, তাই ভোটাধিকার থাকা উচিত। ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. ওয়াইস বলেন, ‘আমরা ভোট দিতে চাই। রাকসুর ফি পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’ ইংরেজি বিভাগের ঐশী রহমান (মারিয়া) বলেন, ‘রোল ও স্টুডেন্ট আইডি এখনও পাইনি। তবু আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই।’
কিছু শিক্ষার্থী এই ধারণার বিরোধী। ফারসি বিভাগের নবীন শাহাবুদ্দিন কদর বলেন, ‘আমরা নবীন, প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব ও নৈতিকতার বিষয়ে পরিচিত নই। ভোট দিলে রাজনৈতিক দল তা কাজে লাগাতে পারে।’
ছাত্রসংগঠনগুলোর বক্তব্যও বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এসেছে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার থাকা উচিত, তবে নির্বাচনের সময়সূচিতে কোনো বিলম্ব না হওয়া ভালো। ইসলামী ছাত্রশিবির মনে করে, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার ও প্রার্থী হওয়ার অধিকার ন্যায্য। ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাদের মৌলিক অধিকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা বলছেন, প্রথম বর্ষ থেকে পিএইচডি ও এমফিল শিক্ষার্থীদেরও প্রার্থী হওয়া এবং ভোটাধিকার থাকা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এই বিষয়টি সঠিকভাবে সমাধান করা জরুরি।