সমাচার ডেস্ক
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এই ঘূর্ণিঝড়টি আরো শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় সম্ভাব্য আঘাত হানার শঙ্কায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে কক্সবাজার বিমানবন্দরেও ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর ফলে দুই বিমানবন্দরেই উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে মহাবিপদ সংকেত দেখানোর সতর্কতা জারি পর এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আজ রোববার (২৬ মে) শাহ আমানত বিমানবন্দরে দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা রিমাল আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এর প্রভাবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল।
প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় সন্ধ্যা অথবা মধ্যরাত নাগাদ মোংলা ও খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর এরি মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের পৌঁছে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে চার হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং এরি মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মহিবুর রহমান।