ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়া সদর থানাধীন ঠনঠনিয়াস্থ আল-ওহি ন্যাশনাল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।  পরিচ্ছন্ন নেতা ব্যারিস্টার শিহাব ঢাকা-১৯ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান দাঙ্গার নীরবতার পর মণিপুর সফরে যাচ্ছেন মোদি ঢাবির শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার: গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। পটিয়ায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টায় চালক খুন সোনালী বাংলাদেশ ইউকে: চেয়ারম্যান বদলে এলেন নাজমা মোবারেক আলী আমজদের ঘড়িঘর থেকে সরানো হবে ‘জুলাই স্মৃতিফলক’ গাজীপুরে ট্রেনে ধাক্কা, ট্রাক চালক ও মালিক নিহত ১২ বছর ধরে অচল লোহাগাড়ার ট্রমা সেন্টার, শিগগিরই চালুর উদ্যোগ একই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি, সুন্দরগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি।

সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ক্লাস চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কয়েক দফায় সংঘর্ষের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেন নিয়মিত সূচিতে চলবে।

এর আগে শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের জেরে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সংঘর্ষে অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই ছাত্রী ২ নম্বর গেটের কাছে একটি ভাড়া বাসায় প্রবেশ করতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান তাঁকে মারধর করেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে দারোয়ান পালানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় লোকজন মাইক ব্যবহার করে আরও লোকজন ডেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

এ ঘটনায় আহত অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, আহতদের মধ্যে দুজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। বাকিদের শরীরে লাঠিসোঁটা, কাঠ ও ইটপাটকেলের আঘাত রয়েছে। একসঙ্গে এত বেশি আহত শিক্ষার্থী আগে দেখেননি তিনি। তাঁদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত।

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ক্লাস চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কয়েক দফায় সংঘর্ষের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেন নিয়মিত সূচিতে চলবে।

এর আগে শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের জেরে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সংঘর্ষে অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই ছাত্রী ২ নম্বর গেটের কাছে একটি ভাড়া বাসায় প্রবেশ করতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান তাঁকে মারধর করেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে দারোয়ান পালানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় লোকজন মাইক ব্যবহার করে আরও লোকজন ডেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

এ ঘটনায় আহত অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, আহতদের মধ্যে দুজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। বাকিদের শরীরে লাঠিসোঁটা, কাঠ ও ইটপাটকেলের আঘাত রয়েছে। একসঙ্গে এত বেশি আহত শিক্ষার্থী আগে দেখেননি তিনি। তাঁদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।