কৃষি ও মৎস্য খামার করে অর্থনৈতিক সফল হয়েছেন তালতলির ইমরান রাসেল।
রাজনীতি ছেড়ে সফল কৃষি ও মৎস্য উদ্যোক্তা ইমরান রাসেল

- আপডেট সময় : ০৯:২৯:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
বরগুনার তালতলী উপজেলার ইমরান রাসেল,অনার্স মাস্টার্স পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা,তাতেও ভাগ্যের পরিবর্তন না হওয়ায় পরে কৃষি ও মৎস্য খামারে পাল্টে দিয়েছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা ইমরান রাসেল(৪০) এর জীবন।
চাকরির পিছনে না ঘুরে নিজেই গড়ে তুলেছেন জোমাদ্দার মৎস্য ও কৃষি খামার প্রজেক্ট।তালতলী উপজেলার বড় অংকুজান পাড়ার ইমরান রাসেল।ইমরান রাসেল ঔ একই গ্রামের জাহাঙ্গীর জোমাদ্দারের ছেলে।
জানা যায়,২০১০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেন ইমরান রাসেল।ব্যবসায় লাভবান না হওয়া,করোনা পরবর্তী সময়ে ঘরবন্দী হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি।চিন্তায় পড়েন ইমরান রাসেল ভাবতে থাকেন সময়টা কিভাবে কাজে লাগানো যায়।কৃষকের সন্তান!সময়টা নষ্ট না করে বাবার ও বর্গা জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন।একপর্যায়ে নিজের পৈতৃক ও বর্গা সহ ২৫ একর জমিতে শুরু করেন দেশি সবজি ও মাছের চাষ। মাত্র তিন মাসেই সবজি ও মৎস্য খামার থেকে হাজার হাজার টাকা লাভবান হন।
আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করায় খুব ভাল ফলন হয়। আশপাশের গ্রাম, এমনকি বরগুনা,বরিশাল শহর থেকেও ক্রেতারা জমিতে এসেই ফল কিনে নেন।এতে তাঁর উৎসাহ বেড়ে যায়।
অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে চাষাবাদ বাড়াতে থাকেন।এখন তিনি শশা,সিম,টমেটো সহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করবেন।
নিজের অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কৃষি ও মৎস্য প্রজেক্ট থেকে তিনি ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন।আশপাশের কয়েক গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবকরা আসছেন তার এ প্রজেক্ট পরিদর্শনে।তারাও চাকরির পেছনে না ছুটে এ ধরনের প্রজেক্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।কৃষিবিদ ইমরান রাসেল জানান,এ বছর আমি দেশি সবজি আবাদে সফল হওয়ায় এখন আমি নতুন প্রজেক্ট নিয়ে ভাবছি।
আমি বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক লাভবান হই।পতিত জমিকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়,সেই প্রযুক্তিগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবো।
তালতলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন,এই তরুণ উদ্যোক্তা ইমরান রাসেল তার প্রজেক্টে সফলতা পেয়েছেন। আমরা আমাদের দপ্তর থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।