সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।।
ঐক্যমত কমিশনের আলোচনায় গণভোটসহ কয়েকটি বিকল্প পদ্ধতি

- আপডেট সময় : ০৫:২৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে
জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
গতকাল রোববার প্রথম দিনের বৈঠকে ছয়জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়ে একাধিক বিকল্প পরামর্শ এসেছে।এর মধ্যে আছে গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন, জুলাই সনদকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ (রেফারেন্স),বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না,তা দেখা।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও উঠে আসে। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ নিয়ে ছয়জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ নিয়ে ছয়জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করেছবি: প্রথম আলো
জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
গতকাল রোববার প্রথম দিনের বৈঠকে ছয়জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়ে একাধিক বিকল্প পরামর্শ এসেছে। এর মধ্যে আছে গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন, জুলাই সনদকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ (রেফারেন্স), বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না,তা দেখা।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আইন ও সংবিধানবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সময় অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কথাও উঠে আসে। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।
আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন। কমিশন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলবে। তাঁদের মতামত সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সহসভাপতি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দুই পর্বের আলোচনায় ৮২টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। তবে এই সনদ তথা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে গত শুক্রবার ঐকমত্য কমিশন বলেছিল, বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নির্ভর করবে বিশেষজ্ঞ মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে কমিশন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে ঐকমত্য কমিশন।
সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি একমত। তবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) আরও কিছু দলের এ ক্ষেত্রে আপত্তি আছে। তারা মনে করে, শুধু অঙ্গীকার থাকলে হবে না; জুলাই সনদকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।