সাভারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার শিহাবের মতবিনিময়।

- আপডেট সময় : ০৯:১৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
সাভারের বন্ধুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সাভার থানা রোডের মামুন পার্টি প্যালেসে ঢাকা-১৯ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খানের সঙ্গে বন্ধুদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বন্ধুরা বলেন, নেতৃত্ব হলো একটি ‘শিল্প’, যার মাধ্যমে একটি দল বা সংস্থাকে কার্যকর করা যায়, দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করা হয় এবং সততার সঙ্গে সদস্যদের অনুপ্রাণিত করে সম্মিলিত লক্ষ্য অর্জনে পরিচালিত করা হয়। সততা, দৃঢ় নৈতিকতা এবং উচ্চ নৈতিক মান একজন ভালো নেতার অপরিহার্য গুণ। একজন সফল নেতা ব্যক্তিত্ব, সাহসিকতা, স্বচ্ছ দৃষ্টি এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার অধিকারী হন এবং দলকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে উৎসাহিত করে সাংগঠনিক সফলতা নিশ্চিত করেন। মূলত নেতাদের শিক্ষা, চরিত্র, গুণাবলি ও কার্যক্ষমতার ওপরই একটি সমাজ, গোষ্ঠী ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি নির্ভর করে। আর সেই গুণগুলো আমরা আমাদের বন্ধু ব্যারিস্টার শিহাবের মধ্যে দেখতে পাই। আমরা আশা করি, দল অবশ্যই যোগ্য লোককে ঢাকা-১৯ আসনের দায়িত্ব প্রদান করবে।
মতবিনিময় সভায় এক বন্ধু জানান, ব্যারিস্টার শিহাব বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে মিথ্যা মামলার যাঁতাকলে পিষ্ট বিএনপি ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছেন। এছাড়া আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন অগ্রভাগে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত সিনেট নির্বাচনে সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। এজন্য তাঁকে মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান মতবিনিময় সভায় বলেন, “দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, আমরা তার পক্ষেই কাজ করব। নেতা নয়, আমাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য হলো ধানের শীষকে বিজয়ী করা। স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে শুরু করেছি। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি। একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। যারা নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক বলছেন তারাও একটি পর্যায়ে ইতিবাচক হয়ে যাবেন বলে আশা করছি। তৃণমূল পর্যায়ে সর্বোচ্চ যোগাযোগ করছি। আর মাঠ পর্যায়ে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের যাচাই করা হচ্ছে। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। আমরা চাই, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা আসুক।”
এই মতবিনিময় সভায় বন্ধু মহলের চিকিৎসক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।