বিনোদন ডেস্ক
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ভাবনা। যেখানে দেখা যায়, একটি পিকআপ ভ্যানে কয়েকটি গরু। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!’ মূলত এই পোস্টের সূত্র ধরেই সামাজিকমাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে তোপের মুখে পড়েন ভাবনা। এমনকি সেই পোস্টের মন্তব্য ঘরেও নানান কটূক্তি করতে থাকে একটি মহল। হা হা রিয়্যাক্টে ভরিয়ে দেয়া হয় ভাবনার পোস্ট!
এবার নেটিজেনদের এই সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী। সোমবার (৬ মে) সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দীর্ঘ একটি পোস্ট দেন তিনি। লেখেন, ‘আমি মাঝেমাঝেই ছবি তুলতে পছন্দ করি, যখন কোনো দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝেমাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি, আমার একটি ছবি যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পিকআপ ভ্যানে রোদে দাড়িয়ে একটি গরু, তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরছে পানি। সেদিন ছিল তীব্র দাবদাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রাণীটি ভীষণভাবে কাঁদছিলো। বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিলো। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি।’
ভাবনা বলেন, ‘‘আমি ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছি ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!” ব্যাস এতটুকুই! তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, লিখতে শুরু করলেন- আমি চামড়ার ব্যাবসায়ী! আমি নিজে একটা গাভী! আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত! আরো কত নোংরা নোংরা কথা! আমি ২০১৬ সালে কবে গরুর তেহারি খেয়েছি, কোন ইন্টারভিউতে গিয়ে বলেছি আমি গরুর মাংস রান্না করতে পারি, কবে বিফ স্টেক খেয়েছি এইসব। আমি কোথাও লিখিনি আমি গরুর মাংস খাই না, বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না, একজন প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক, আর আমি প্রকৃতিপ্রেমী বা প্রাণীপ্রেমী কিনা সেটার প্রমাণ আমি কোথাও দিব না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে? অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবে, হয়তো কোনো কবিতায় বা গল্পে, বা অন্য কোথাও বা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে। শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার দিকে ছুঁড়ে দেয়া সকল তির আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।’
প্রসঙ্গত, একজন প্রাণীপ্রেমী হিসেবেও পরিচিত ভাবনা। তাঁর কাকপ্রীতির গল্প ভক্ত মাত্রই জানেন! এছাড়া নিজে যেমন বাসায় পোষ্য লালন-পালন করেন, আবার পথেঘাটে পড়ে থাকা প্রাণীর প্রতিও তাঁর মায়া-মমতার ছাপ পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।