ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার উল্টো প্রবণতা, বাড়াতে হবে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ নড়াইলে নিখোঁজের চার দিন পর পুকুর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে একাধিক সরকার আসতে পারে: আসাদুজ্জামান রিপন হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর তিন দিনের রিমান্ডে ট্রাম্পের অভিযোগ: পুতিন, শি এবং কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন ইভটিজিংয়ের দায়ে অটোচালককে ১ বছরের কারাদণ্ড বকেয়া বেতনের দাবিতে কুড়িলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর হতে বাধা নেই লঘুচাপ পরিণত সুস্পষ্ট লঘুচাপে, বাড়বে বৃষ্টি বগুড়া সদর থানাধীন ঠনঠনিয়াস্থ আল-ওহি ন্যাশনাল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। 

১২ বছর ধরে অচল লোহাগাড়ার ট্রমা সেন্টার, শিগগিরই চালুর উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য লোহাগাড়া উপজেলায় প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি ২০১৩ সালে উদ্বোধন হলেও দীর্ঘ ১২ বছরেও চালু হয়নি। জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবেই এ চিকিৎসাকেন্দ্র অচল অবস্থায় পড়ে ছিল।

দুই লেনের সরু ও দুর্ঘটনাপ্রবণ চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কটিতে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতাল নেই। ফলে দুর্ঘটনায় হতাহতরা দ্রুত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২৫ সালেই দোহাজারী থানার আওতাধীন ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫১টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, ২০০৭ সালে ২০ শয্যার লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়। চিকিৎসা কর্মকর্তা, কনসালট্যান্ট, নার্স ও টেকনোলজিস্টসহ ২৭টি পদ সৃষ্টির সুপারিশ করা হলেও এখনো জনবল পদায়ন হয়নি, মেলেনি যন্ত্রপাতিও।

তবে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে সম্প্রতি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে সরকার চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাদের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসাইন জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ট্রমা সেন্টারটি চালুর লক্ষ্য রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভবনটিতে শ্রমিকেরা পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারের কাজ করছেন, ভাঙা আসবাবপত্রও মেরামত হচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আশা, সেন্টারটি চালু হলে প্রতিদিনের হাড়ভাঙা ও দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা বিশেষায়িত সেবা নিতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১২ বছর ধরে অচল লোহাগাড়ার ট্রমা সেন্টার, শিগগিরই চালুর উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৫:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য লোহাগাড়া উপজেলায় প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি ২০১৩ সালে উদ্বোধন হলেও দীর্ঘ ১২ বছরেও চালু হয়নি। জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবেই এ চিকিৎসাকেন্দ্র অচল অবস্থায় পড়ে ছিল।

দুই লেনের সরু ও দুর্ঘটনাপ্রবণ চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কটিতে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতাল নেই। ফলে দুর্ঘটনায় হতাহতরা দ্রুত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২৫ সালেই দোহাজারী থানার আওতাধীন ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫১টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, ২০০৭ সালে ২০ শয্যার লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়। চিকিৎসা কর্মকর্তা, কনসালট্যান্ট, নার্স ও টেকনোলজিস্টসহ ২৭টি পদ সৃষ্টির সুপারিশ করা হলেও এখনো জনবল পদায়ন হয়নি, মেলেনি যন্ত্রপাতিও।

তবে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে সম্প্রতি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে সরকার চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাদের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসাইন জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ট্রমা সেন্টারটি চালুর লক্ষ্য রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভবনটিতে শ্রমিকেরা পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারের কাজ করছেন, ভাঙা আসবাবপত্রও মেরামত হচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আশা, সেন্টারটি চালু হলে প্রতিদিনের হাড়ভাঙা ও দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা বিশেষায়িত সেবা নিতে পারবেন।