সমাচার ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে তৃতীয় ধাপের স্থগিত হওয়া ২২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। আজ বুধবার (২৯ মে) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ২২টি উপজেলা পরিষদের মধ্যে ২০টির ভোট হবে ৯ জুন এবং বাকি ২টির ভোট হবে ৫ জুন চতুর্থ ধাপের সঙ্গে।
৯ জুন যেসব উপজেলায় ভোট হবে- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমদ্দীন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা; রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী।
চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন।
এদিকে তৃতীয় ধাপে ৮৭টি উপজেলায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ইসি সচিব জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটের হার ২০ শতাংশের নিচে। নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ম্যানুয়ালি তথ্য নিতে হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো সহিংসতা নেই।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পটিয়ার পূর্ব পিনগালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যালট ছিনতাইয়ের কারণে ভোট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বগুড়া সদরে আইসক্রিম প্রতীক ভুল হওয়ায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ফেনী সদর উপজেলায় প্রিসাইডিং অফিসারকে অনিয়মের অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ।
আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।