সমাচার ডেস্ক
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, অভিযোগ সিডিউলভুক্ত হলে অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেবে। আজ বুধবার (২৯ মে) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগ আমি দেখিনি। যেকোনো অভিযোগ দুদকের সিডিউলভুক্ত হলে তা আমলে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও দুদকের সিডিউল হয়, আমরা পরীক্ষা করে দেখবো। সিডিউলভুক্ত হলে আমলে নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, অনীত অভিযোগ পর্যালোচনা করে দুদকের শিডিউলভুক্ত অপরাধ হলে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এর আগে দুপুরে সাবেক সেনাপ্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে দুদকে আবেদন করেছেন সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নামের একজন আইনজীবী।
দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা ওই আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রিগ্যান বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে আজিজ আহম্মেদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী” ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে। তিনি আরো বলেন, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দুর্নীতি দমন কমিশন এতো বড় অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরওে অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। যা দুদকের নিষ্ক্রিয়তা। এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত ২১ মে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের চিফ অব আর্মি স্টাফ ছিলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। তার আগে ২০১২ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিজিবির নেতৃত্ব দেন।