ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জীর্ণ ঘরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে অসুস্থ দম্পতি, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নীরবতা। বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সেগুনবাগিচায় বিক্ষোভ। যাত্রাবাড়ী হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন সিআইডির। দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দাবিতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতক্ষীরার শামীম হোসেন। বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা: হাসনাত আবদুল্লাহর অভিযোগ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে এক চুক্তি ও পাঁচ সমঝোতা স্মারক সই। থালাপতি বিজয় ‘ফ্যাসিবাদী বিজেপি’ এবং মোদীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছেন। রিজভী অভিযোগ: সাঈদীর বিরুদ্ধে হাসিনা মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করেছিলেন” ইরানে অভিযান: ইসরায়েল সংক্রান্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ছয় সদস্য নিহত

শিক্ষার্থী শিক্ষকদের অভিযোগ

সাত বছরেও শেষ হয়নি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ।

মো.খালেদ মাসুদ,নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:১১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরগুনার তালতলীতে তালুকদার পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোগান্তির মধ্যে ক্লাশ করছে বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শত শিক্ষার্থী শিক্ষকদের অভিযোগ,ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্ব হীনতার কারনে দীর্ঘ দিনেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও সমাধান পায়নি তারা। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। তবে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। 

২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় তালতলীর তালুকদার পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ভবন নির্মাণ কাজ পায় হাজী এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড মেসার্স কোহিনুর জেভি।চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখ।

চুক্তি শেষের ৫ বছর পার হলেও ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না করে কাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এদিকে পুরাতন ক্লাসরুমে প্রতিষ্ঠানটি পাঠদান কার্যক্রম করছিলো তা জরাজীর্ণ হয়ে পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।তাই বাদ্য হয়ে নির্মান শেষ না হওয়া ভবনেই পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তিপক্ষ। শিক্ষার্থীরা বলছেন,এখানে ধুলোবালির মধ্যে ক্লাশ করতে হচ্ছে তাদের। সামান্য বাতাসে ধুলোবালি চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের চোখে ও মুখে।দরজা জানালা না থাকায় বৃষ্টি হলেই ভিজে যাচ্ছে বই খাতা।বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা।

বিকল্প ক্লাস রুমের ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে নির্মাণ শেষ না হওয়া ভবনেই ক্লাস করাচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।শিক্ষকদের দাবি,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান গ্রহণ করতে পারছে না। ভবনটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দাবি জানালেও কোন প্রতিকার পাইনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী কাজ শেষ করাতে না পারার বিষয় কথা বলতে রাজি হয়নি জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী।তবে নির্মাণ কাজটি দ্রুত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে বিল নিয়েছেন দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি—দ্রুত এই নির্মাণ কাজ শেষ করে একটি নিরাপদ ও উপযোগী পাঠদানের পরিবেশ নিশ্চিত করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শিক্ষার্থী শিক্ষকদের অভিযোগ

সাত বছরেও শেষ হয়নি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ।

আপডেট সময় : ০৮:১১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

বরগুনার তালতলীতে তালুকদার পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোগান্তির মধ্যে ক্লাশ করছে বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শত শিক্ষার্থী শিক্ষকদের অভিযোগ,ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্ব হীনতার কারনে দীর্ঘ দিনেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও সমাধান পায়নি তারা। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। তবে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। 

২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় তালতলীর তালুকদার পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ভবন নির্মাণ কাজ পায় হাজী এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড মেসার্স কোহিনুর জেভি।চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখ।

চুক্তি শেষের ৫ বছর পার হলেও ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না করে কাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এদিকে পুরাতন ক্লাসরুমে প্রতিষ্ঠানটি পাঠদান কার্যক্রম করছিলো তা জরাজীর্ণ হয়ে পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।তাই বাদ্য হয়ে নির্মান শেষ না হওয়া ভবনেই পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তিপক্ষ। শিক্ষার্থীরা বলছেন,এখানে ধুলোবালির মধ্যে ক্লাশ করতে হচ্ছে তাদের। সামান্য বাতাসে ধুলোবালি চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের চোখে ও মুখে।দরজা জানালা না থাকায় বৃষ্টি হলেই ভিজে যাচ্ছে বই খাতা।বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা।

বিকল্প ক্লাস রুমের ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে নির্মাণ শেষ না হওয়া ভবনেই ক্লাস করাচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।শিক্ষকদের দাবি,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান গ্রহণ করতে পারছে না। ভবনটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দাবি জানালেও কোন প্রতিকার পাইনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী কাজ শেষ করাতে না পারার বিষয় কথা বলতে রাজি হয়নি জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী।তবে নির্মাণ কাজটি দ্রুত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে বিল নিয়েছেন দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি—দ্রুত এই নির্মাণ কাজ শেষ করে একটি নিরাপদ ও উপযোগী পাঠদানের পরিবেশ নিশ্চিত করা।