আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘সোমবার রাতে তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশি পাহারায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে তাদের শতাধিক শিক্ষার্থী মাথায়, পেটে, হাতে ও বুকে জখম পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে তারা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফটক ও সড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’
অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ‘কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য যারা চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করার জন্য ছাত্রলীগ সতর্ক পাহারায় রয়েছে।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে বসেছে জাবি কর্তৃপক্ষ। দুপুর ১ টা থেকে শুরু হওয়া এ সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময়, শিক্ষক-বক্তারা সোমবার রাতে ছাত্রলীগের হামলাকে জাবির ইতিহাসে ‘কালরাত’ আখ্যায়িত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তপ্ত এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জাবির নিরাপত্তা শাখার পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর মোহাম্মদ আলমগীর কবির।