ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক: বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে ৬ চুক্তি স্বাক্ষরের আভাস ২৫ আগস্টের মধ্যে লুটের পাথর ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দ্বিতীয়বারের মতো নারী বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। টেকনাফ সীমান্তে গুলির শব্দ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা। লুটের অস্ত্রে চলছে ছিনতাই-লুটপাট, ১৩৬৩টির হদিস নেই এখনো। যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার কারখানায় বিস্ফোরণ। গলাচিপা পৌর শহরে অস্ত্রের মুখে বাড়িতে ডাকাতি। ছাত্র জনতা হত্যা মামলায় জাবির সাবেক সহকারী প্রক্টর গ্রেফতার। পরিবর্তন টেকসই করতে হলে নতুন সংবিধান লিখতে হবে: আখতার হোসেন। পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ২৮৪টি মহিষের মালিক আসলে কে?

নিয়োগ

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ, আবেদন শেষ ৩০ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আপনার মস্তিষ্ক প্রতিটি চিন্তা, অনুভূতি এবং কাজের উৎস কিন্তু দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস গোপনে এর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, অনেকক্ষণ বসে থাকা, অথবা বেশি সময় ধরে হেডফোন দিয়ে জোরে গান শোনা—এসব কাজ স্মৃতি, মনোযোগ ও চিন্তাভাবনায় ধীরতা নিয়ে আসে এবং সময়ের সঙ্গে বড় ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ায় যেমন ডিমেনশিয়া এবং আলঝেইমার। তবে আপনার জন্য ভালো খবর হলো, এই অভ্যাসগুলো জানলেই আপনি ছোট ছোট পরিবর্তন করে মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে পারেন। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

পর্যাপ্ত না ঘুমানো:

এনআইএইচের প্রকাশিত গবেষণানুযায়ী, ঘুমের গভীর পর্যায়ে মস্তিষ্ক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেমন শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করা এবং ছোট ছোট স্মৃতিকে দীর্ঘদিন মনে রাখার জন্য সংরক্ষণ করা। যদি নিয়মিত ভালো ঘুম না হয়, তাহলে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এতে করে আপনার চিন্তাভাবনা ধীর হয়, সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয় এবং মেজাজ খারাপ থাকে। তাই প্রতিদিন রাতেই ৭-৯ ঘণ্টা ভালো ঘুমানো জরুরি।

অনেকক্ষণ বসে থাকা:

ফ্রনটারস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলেছে, একজায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং পুষ্টির সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এমনকি দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে মস্তিষ্কের কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে, বিশেষ করে হিপোক্যাম্পাসে, যা শেখা এবং স্মৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কল করার সময় দাঁড়ানো, বিরতির সময় হাঁটা, অথবা সিট-স্ট্যান্ড ডেস্ক ব্যবহার করা রক্ত সঞ্চালন এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।

একসঙ্গে অনেক কাজ করা:

মাল্টিটাস্কিং মানে মস্তিষ্ককে দ্রুত কাজের মধ্যে ঘুরপাক খেতে বাধ্য করা, একসঙ্গে সব কাজ করা নয়। এই ধরণের কাজের ফেরা মানসিক ক্লান্তি বাড়ায়, দক্ষতা কমায় এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্য বাদ দেওয়ার ক্ষমতা দুর্বল করে। দীর্ঘ সময়ে এটি মনোযোগের সময়কাল এবং কর্মক্ষম স্মৃতি কমিয়ে দেয়। একক কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া গভীর ফোকাস এবং তথ্য ধারণে সাহায্য করে।

খারাপ খাবার খাওয়া:

মস্তিষ্ক আপনার শরীরের প্রায় ২০% শক্তি ব্যবহার করে, তাই পুষ্টি এর কার্যক্ষমতার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।প্রক্রিয়াজাত খাবার, পরিশোধিত চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি মস্তিষ্কে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়, যা মস্তিষ্কের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে। মাছ (ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ), শাকসবজি, বেরি, বাদাম ও বীজসমৃদ্ধ খাদ্য মস্তিষ্কের কোষ রক্ষা করে এবং স্নায়ুর মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করে।

দীর্ঘস্থায়ী চাপ:

দীর্ঘস্থায়ী চাপের কারণে কোর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা উচ্চ মাত্রায় হিপোক্যাম্পাস ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং নতুন স্মৃতি গঠনে বাধা দেয়। এটি ঘুমের নিয়মতাও ব্যাহত করে এবং ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, ডায়েরি লেখা, যোগব্যায়াম বা নিয়মিত ব্যায়াম চাপ কমাতে এবং মানসিক ক্লান্তির বিরুদ্ধে সহায়ক।

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা:

নিয়মিত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ মস্তিষ্কের সেই অংশগুলোকে উদ্দীপিত করে যা আবেগ নিয়ন্ত্রণ, স্মৃতি পুনরুদ্ধার এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। বিচ্ছিন্নতা মস্তিষ্ককে এই উদ্দীপনা থেকে বঞ্চিত করে, যার ফলে বিষণ্নতা এবং স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলা বা বন্ধুকে ফোন করা ছোট ছোট দৈনন্দিন মেলামেশা মস্তিষ্কের স্নায়ু পথ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হেডফোনে উচ্চ শব্দে গান শোনা:

প্রায়ই উচ্চ শব্দে হেডফোনে গান শোনার ফলে কানের ছোট ছোট হেয়ার সেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা স্থায়ী শ্রবণ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। শ্রবণ হারানো শুধু কানে প্রভাব ফেলে না, এটি মস্তিষ্ককে শব্দ বুঝতে বেশি পরিশ্রম করতে বাধ্য করে, ফলে স্মৃতি, মনোযোগ এবং যুক্তিবাদে প্রভাব পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, অবহেলিত শ্রবণ ক্ষতি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। শ্রবণ ও মস্তিষ্ক রক্ষার জন্য ৬০/৬০ নিয়ম মানুন—৬০ শতাংশ ভলিউমে ৬০ মিনিটের বেশি গান শুনবেন না।

মানসিক উদ্দীপনার অভাব:

মস্তিষ্ক একটি পেশীর মত, নিয়মিত ব্যায়াম দরকার। মানসিক চ্যালেঞ্জ না পেলে স্নায়ু পথ দুর্বল হয়, যার ফলে সমস্যা সমাধান এবং স্মৃতির গতি কমে। বই পড়া, দাবা খেলা, ধাঁধাঁ সমাধান, নতুন কিছু শেখা বা নতুন শখ শুরু করাও মস্তিষ্ককে নতুন সংযোগ গড়তে সাহায্য করে এবং ডিমেনশিয়ার বিরুদ্ধে রক্ষা করে।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা:

মস্তিষ্ক প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানি নিয়ে গঠিত। সামান্য পানিহীনতাও মাথাব্যথা, ক্লান্তি, সাময়িক স্মৃতিভ্রংশ এবং মনোযোগ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। পানিহীনতা রক্তকে ঘনীভূত করে, ফলে অক্সিজেন ও পুষ্টি মস্তিষ্কে পৌঁছানো কঠিন হয়। দিনে নিয়মিত পানি পান করা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে অপরিহার্য।

ঘুমানোর আগে বেশি স্ক্রিন ব্যবহার:

স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা আপনার শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে। ঘুমানোর আগে ডিভাইস ব্যবহারে প্রাকৃতিক ঘুমের চক্র বিঘ্নিত হয়, ফলে গভীর ঘুমের মান কমে, যা স্মৃতি সংরক্ষণ এবং মস্তিষ্কের কোষের মেরামত করতে প্রয়োজন। বই পড়া, হালকা আলো বা শান্ত সঙ্গীত ঘুমের আগে মস্তিষ্কের জন্য ভালো।

মস্তিষ্ক দৈনন্দিন অভ্যাসের প্রতি খুবই সংবেদনশীল, তবে ভালো খবর হলো—ছোট ও ধারাবাহিক পরিবর্তন যেমন খাদ্য উন্নত করা, চাপ নিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ানো এবং শ্রবণ রক্ষা করার মাধ্যমে আপনি দীর্ঘদিন মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে পারেন।

বি.দ্র: এই লেখাটি সাধারণ তথ্য দেয়ার জন্য। চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: টাইমস অব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্লাস্টিক বর্জ্য মোকাবিলা’ শীর্ষক প্রকল্পে সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ দেবে। ড্যানিডা ফেলোশিপ সেন্টার (ডিএফসি)-এর অর্থায়নে প্রকল্পটি ২০২৪ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত চলবে।

যোগ্যতা

স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান, পরিবেশ অর্থনীতি, পরিবেশ প্রকৌশল, পরিবেশ সমাজবিদ্যা, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, নৃবিজ্ঞান, অপারেশনস ম্যানেজমেন্ট, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু অর্থায়ন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্তত স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রার্থীকে টেকসই উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট-সংক্রান্ত গবেষণায় অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা পদ্ধতি, তথ্য বিশ্লেষণ ও ভিজুয়ালাইজেশন সফটওয়্যার (যেমন NVivo, SPSS বা STATA) ব্যবহারে দক্ষতা থাকতে হবে। ইংরেজি ও বাংলায় চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা এবং ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

আবেদনের নিয়ম

প্রার্থীদের কাভার লেটার, লেখার নমুনা (যেমন প্রকাশনা বা ফিল্ড রিপোর্ট), হালনাগাদ জীবনবৃত্তান্ত (রেফারেন্সসহ) ও সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ই-মেইলে ced.projects@bracu.ac.bd ঠিকানায় পাঠাতে হবে। ই-মেইলের বিষয় লাইনে ‘Application for Senior Research Associate’ লিখতে হবে। শেষ তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৫।

এক নজরে

পদের নাম: সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট

প্রকল্পকাল: ২০২৪-২০২৯

প্রতিষ্ঠান: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, সিইডি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: অন্তত ৫ বছর

আবেদনের শেষ তারিখ: ৩০ আগস্ট ২০২৫ইন্ডিয়া

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নিয়োগ

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ, আবেদন শেষ ৩০ আগস্ট

আপডেট সময় : ০৬:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

আপনার মস্তিষ্ক প্রতিটি চিন্তা, অনুভূতি এবং কাজের উৎস কিন্তু দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস গোপনে এর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, অনেকক্ষণ বসে থাকা, অথবা বেশি সময় ধরে হেডফোন দিয়ে জোরে গান শোনা—এসব কাজ স্মৃতি, মনোযোগ ও চিন্তাভাবনায় ধীরতা নিয়ে আসে এবং সময়ের সঙ্গে বড় ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ায় যেমন ডিমেনশিয়া এবং আলঝেইমার। তবে আপনার জন্য ভালো খবর হলো, এই অভ্যাসগুলো জানলেই আপনি ছোট ছোট পরিবর্তন করে মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে পারেন। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

পর্যাপ্ত না ঘুমানো:

এনআইএইচের প্রকাশিত গবেষণানুযায়ী, ঘুমের গভীর পর্যায়ে মস্তিষ্ক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেমন শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করা এবং ছোট ছোট স্মৃতিকে দীর্ঘদিন মনে রাখার জন্য সংরক্ষণ করা। যদি নিয়মিত ভালো ঘুম না হয়, তাহলে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এতে করে আপনার চিন্তাভাবনা ধীর হয়, সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয় এবং মেজাজ খারাপ থাকে। তাই প্রতিদিন রাতেই ৭-৯ ঘণ্টা ভালো ঘুমানো জরুরি।

অনেকক্ষণ বসে থাকা:

ফ্রনটারস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলেছে, একজায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং পুষ্টির সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এমনকি দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে মস্তিষ্কের কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে, বিশেষ করে হিপোক্যাম্পাসে, যা শেখা এবং স্মৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কল করার সময় দাঁড়ানো, বিরতির সময় হাঁটা, অথবা সিট-স্ট্যান্ড ডেস্ক ব্যবহার করা রক্ত সঞ্চালন এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।

একসঙ্গে অনেক কাজ করা:

মাল্টিটাস্কিং মানে মস্তিষ্ককে দ্রুত কাজের মধ্যে ঘুরপাক খেতে বাধ্য করা, একসঙ্গে সব কাজ করা নয়। এই ধরণের কাজের ফেরা মানসিক ক্লান্তি বাড়ায়, দক্ষতা কমায় এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্য বাদ দেওয়ার ক্ষমতা দুর্বল করে। দীর্ঘ সময়ে এটি মনোযোগের সময়কাল এবং কর্মক্ষম স্মৃতি কমিয়ে দেয়। একক কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া গভীর ফোকাস এবং তথ্য ধারণে সাহায্য করে।

খারাপ খাবার খাওয়া:

মস্তিষ্ক আপনার শরীরের প্রায় ২০% শক্তি ব্যবহার করে, তাই পুষ্টি এর কার্যক্ষমতার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।প্রক্রিয়াজাত খাবার, পরিশোধিত চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি মস্তিষ্কে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়, যা মস্তিষ্কের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে। মাছ (ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ), শাকসবজি, বেরি, বাদাম ও বীজসমৃদ্ধ খাদ্য মস্তিষ্কের কোষ রক্ষা করে এবং স্নায়ুর মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করে।

দীর্ঘস্থায়ী চাপ:

দীর্ঘস্থায়ী চাপের কারণে কোর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা উচ্চ মাত্রায় হিপোক্যাম্পাস ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং নতুন স্মৃতি গঠনে বাধা দেয়। এটি ঘুমের নিয়মতাও ব্যাহত করে এবং ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, ডায়েরি লেখা, যোগব্যায়াম বা নিয়মিত ব্যায়াম চাপ কমাতে এবং মানসিক ক্লান্তির বিরুদ্ধে সহায়ক।

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা:

নিয়মিত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ মস্তিষ্কের সেই অংশগুলোকে উদ্দীপিত করে যা আবেগ নিয়ন্ত্রণ, স্মৃতি পুনরুদ্ধার এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। বিচ্ছিন্নতা মস্তিষ্ককে এই উদ্দীপনা থেকে বঞ্চিত করে, যার ফলে বিষণ্নতা এবং স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলা বা বন্ধুকে ফোন করা ছোট ছোট দৈনন্দিন মেলামেশা মস্তিষ্কের স্নায়ু পথ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হেডফোনে উচ্চ শব্দে গান শোনা:

প্রায়ই উচ্চ শব্দে হেডফোনে গান শোনার ফলে কানের ছোট ছোট হেয়ার সেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা স্থায়ী শ্রবণ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। শ্রবণ হারানো শুধু কানে প্রভাব ফেলে না, এটি মস্তিষ্ককে শব্দ বুঝতে বেশি পরিশ্রম করতে বাধ্য করে, ফলে স্মৃতি, মনোযোগ এবং যুক্তিবাদে প্রভাব পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, অবহেলিত শ্রবণ ক্ষতি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। শ্রবণ ও মস্তিষ্ক রক্ষার জন্য ৬০/৬০ নিয়ম মানুন—৬০ শতাংশ ভলিউমে ৬০ মিনিটের বেশি গান শুনবেন না।

মানসিক উদ্দীপনার অভাব:

মস্তিষ্ক একটি পেশীর মত, নিয়মিত ব্যায়াম দরকার। মানসিক চ্যালেঞ্জ না পেলে স্নায়ু পথ দুর্বল হয়, যার ফলে সমস্যা সমাধান এবং স্মৃতির গতি কমে। বই পড়া, দাবা খেলা, ধাঁধাঁ সমাধান, নতুন কিছু শেখা বা নতুন শখ শুরু করাও মস্তিষ্ককে নতুন সংযোগ গড়তে সাহায্য করে এবং ডিমেনশিয়ার বিরুদ্ধে রক্ষা করে।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা:

মস্তিষ্ক প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানি নিয়ে গঠিত। সামান্য পানিহীনতাও মাথাব্যথা, ক্লান্তি, সাময়িক স্মৃতিভ্রংশ এবং মনোযোগ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। পানিহীনতা রক্তকে ঘনীভূত করে, ফলে অক্সিজেন ও পুষ্টি মস্তিষ্কে পৌঁছানো কঠিন হয়। দিনে নিয়মিত পানি পান করা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে অপরিহার্য।

ঘুমানোর আগে বেশি স্ক্রিন ব্যবহার:

স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা আপনার শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে। ঘুমানোর আগে ডিভাইস ব্যবহারে প্রাকৃতিক ঘুমের চক্র বিঘ্নিত হয়, ফলে গভীর ঘুমের মান কমে, যা স্মৃতি সংরক্ষণ এবং মস্তিষ্কের কোষের মেরামত করতে প্রয়োজন। বই পড়া, হালকা আলো বা শান্ত সঙ্গীত ঘুমের আগে মস্তিষ্কের জন্য ভালো।

মস্তিষ্ক দৈনন্দিন অভ্যাসের প্রতি খুবই সংবেদনশীল, তবে ভালো খবর হলো—ছোট ও ধারাবাহিক পরিবর্তন যেমন খাদ্য উন্নত করা, চাপ নিয়ন্ত্রণ, শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ানো এবং শ্রবণ রক্ষা করার মাধ্যমে আপনি দীর্ঘদিন মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে পারেন।

বি.দ্র: এই লেখাটি সাধারণ তথ্য দেয়ার জন্য। চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: টাইমস অব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্লাস্টিক বর্জ্য মোকাবিলা’ শীর্ষক প্রকল্পে সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ দেবে। ড্যানিডা ফেলোশিপ সেন্টার (ডিএফসি)-এর অর্থায়নে প্রকল্পটি ২০২৪ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত চলবে।

যোগ্যতা

স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান, পরিবেশ অর্থনীতি, পরিবেশ প্রকৌশল, পরিবেশ সমাজবিদ্যা, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, নৃবিজ্ঞান, অপারেশনস ম্যানেজমেন্ট, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু অর্থায়ন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্তত স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রার্থীকে টেকসই উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট-সংক্রান্ত গবেষণায় অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা পদ্ধতি, তথ্য বিশ্লেষণ ও ভিজুয়ালাইজেশন সফটওয়্যার (যেমন NVivo, SPSS বা STATA) ব্যবহারে দক্ষতা থাকতে হবে। ইংরেজি ও বাংলায় চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা এবং ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

আবেদনের নিয়ম

প্রার্থীদের কাভার লেটার, লেখার নমুনা (যেমন প্রকাশনা বা ফিল্ড রিপোর্ট), হালনাগাদ জীবনবৃত্তান্ত (রেফারেন্সসহ) ও সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ই-মেইলে ced.projects@bracu.ac.bd ঠিকানায় পাঠাতে হবে। ই-মেইলের বিষয় লাইনে ‘Application for Senior Research Associate’ লিখতে হবে। শেষ তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৫।

এক নজরে

পদের নাম: সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট

প্রকল্পকাল: ২০২৪-২০২৯

প্রতিষ্ঠান: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, সিইডি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: অন্তত ৫ বছর

আবেদনের শেষ তারিখ: ৩০ আগস্ট ২০২৫ইন্ডিয়া