ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গহীন জঙ্গলে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান: অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার হত্যা মামলার অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল ৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থার অনুমোদন, ঠিকানায় অস্তিত্ব নেই অনেকের! প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তারেক রহমান গৌরনদী ও আগলঝাড়ার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জহির উদ্দিন স্বপন! খুব শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আমিরাতে নতুন ভিসা নীতি: এআই বিশেষজ্ঞসহ চার ক্যাটাগরি চালু “পিআরের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে জামায়াত” — কায়সার কামাল শারদীয় পূজা ঘিরে গুজব কমেছে, কঠোর নজরদারিতে এনটিএমসি দোহায় হামলার ঘটনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

চাঁদাবাজি ।

পৌর বিএনপির সম্পাদক এর চাঁদাবাজির অডিও ফাঁস।

  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
সংবাদ সমাচারের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালপুরের মাদারগঞ্জের পৌর বিএনপির সম্পাদক খালেদ মাসুদ তালুকদার সোহেলের একটি কথোপকথনের অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই অডিওতে শোনা যায়,চাঁদাবাজি,বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েকজন কথা বলছেন। 

মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট)সকালে অডিওটি বিভিন্ন জনের কাছে ছড়ানোর পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

মাদারগঞ্জ পৌর বিএনপির সম্পাদক খালেদ মাসুদ তালুকদার সোহেল পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. আশরাফুর রহমানের বোনের জামাই (ভগ্নীপতি)।

অডিওতে খালেদ মাসুদ সোহেলকে বলতে শোনা যায়,৬ লাখ টাকা এককালীন দিছে, আর এক লাখ করে প্রতিমাসে দিবার লাগছে।তখন তাকে পাশ থেকে আরেকজন বলছিলেন,তুমি (খালেদ মাসুদ তালুকদার) ডিআইজিকে পচাবার লাগছ।

তখন খালেদ বলেন,আমি ডিআইজির নাম করেই খাই।আমি পৌর বিএনপির সম্পাদক ও আমি ডিআইজির বইনতে (ভগ্নীপতি)আমি খাবু না তে (তো) ক্যারা খাব।এই শোনেন (তার সঙ্গে থাকা লোকদের উদ্দেশে) আপনি আইসে যদি ২ লাখ টাকা দিয়ে বলেন,ভাই আপনি একটু দেইখেন,আমি কইলাম, দেখলাম।তাইলে আমার ২ লাখ টাকা হজম হইল না,হালাল হইল? তখন পাশ থেকে আরেক ব্যক্তি বলেন,তুমি তো পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক,মানুষ জানবে না? তখন খালেদ মাসুদ তালুকদার বলেন,মানুষ জানবই তো,আমি দিবার পাই দেখেই আমি খাবার পাই।আমার ওতাহানি (এতখানি) ক্ষমতা আছে তো,তুমগরে (তোমাদের)নাই,তাই তুমরা খাবার পাও না।

তাকে আরও বলতে শোনা যায়,ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ওসি আইসা কইল,ভাই ২ লাখ টাকা থাকল,একটু দেইখেন আমার মুক (দিক)।আমি ২ লাখ টাকা নিয়ে ওরে ভালো করে দেখলাম।ওসিরা আমারে ট্যাকা দিলে আমি কি না করমু, সুযোগ কি বারেবারে আসে? আমি তো হালাল করেই খাই। ৬ লাখ টাকা একবারে দিছে আর এক লাখ করে প্রতিমাসে দেয়, না হইলে গাড়ি বন্ধ। ময়মনসিংহের সব বালু আমার উনতনে (কাছ) থেকে যায়।

তখন পাশের একজনকে বলতে শোনা যায়,এই রিপোর্ট তো বাবুল (মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মঞ্জুর কাদের বাবুল খান) ভাই জানে।জবাবে খালেদ মাসুদ বলেন,বাবুল জানুক বা বাবুলের বাপ জানুকগা,তাতে আমার কী আসে যায়? আমি আমার হেডামে চলি। আমার নাম কইয়ে চান্দা (চাঁদা) তুলবার গেছিল,তিনজনকে আটকাইয়া থুইছি জেলখানার মধ্যে,আইজ দেড় মাস হইয়া গেল।আমার ক্ষমতা আছে,আমি আটকাইয়া থুইছি। আইজকে ক্ষমতা আছে দেহামু,কাল থাকব না, দেহামু না।ক্ষমতা কি চিরদিন থাকব? তখন পাশ থেকে আরেকজন বলেন,আমগোর এহন সিজন চলতাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চাঁদাবাজি ।

পৌর বিএনপির সম্পাদক এর চাঁদাবাজির অডিও ফাঁস।

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জের পৌর বিএনপির সম্পাদক খালেদ মাসুদ তালুকদার সোহেলের একটি কথোপকথনের অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই অডিওতে শোনা যায়,চাঁদাবাজি,বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েকজন কথা বলছেন। 

মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট)সকালে অডিওটি বিভিন্ন জনের কাছে ছড়ানোর পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

মাদারগঞ্জ পৌর বিএনপির সম্পাদক খালেদ মাসুদ তালুকদার সোহেল পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. আশরাফুর রহমানের বোনের জামাই (ভগ্নীপতি)।

অডিওতে খালেদ মাসুদ সোহেলকে বলতে শোনা যায়,৬ লাখ টাকা এককালীন দিছে, আর এক লাখ করে প্রতিমাসে দিবার লাগছে।তখন তাকে পাশ থেকে আরেকজন বলছিলেন,তুমি (খালেদ মাসুদ তালুকদার) ডিআইজিকে পচাবার লাগছ।

তখন খালেদ বলেন,আমি ডিআইজির নাম করেই খাই।আমি পৌর বিএনপির সম্পাদক ও আমি ডিআইজির বইনতে (ভগ্নীপতি)আমি খাবু না তে (তো) ক্যারা খাব।এই শোনেন (তার সঙ্গে থাকা লোকদের উদ্দেশে) আপনি আইসে যদি ২ লাখ টাকা দিয়ে বলেন,ভাই আপনি একটু দেইখেন,আমি কইলাম, দেখলাম।তাইলে আমার ২ লাখ টাকা হজম হইল না,হালাল হইল? তখন পাশ থেকে আরেক ব্যক্তি বলেন,তুমি তো পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক,মানুষ জানবে না? তখন খালেদ মাসুদ তালুকদার বলেন,মানুষ জানবই তো,আমি দিবার পাই দেখেই আমি খাবার পাই।আমার ওতাহানি (এতখানি) ক্ষমতা আছে তো,তুমগরে (তোমাদের)নাই,তাই তুমরা খাবার পাও না।

তাকে আরও বলতে শোনা যায়,ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ওসি আইসা কইল,ভাই ২ লাখ টাকা থাকল,একটু দেইখেন আমার মুক (দিক)।আমি ২ লাখ টাকা নিয়ে ওরে ভালো করে দেখলাম।ওসিরা আমারে ট্যাকা দিলে আমি কি না করমু, সুযোগ কি বারেবারে আসে? আমি তো হালাল করেই খাই। ৬ লাখ টাকা একবারে দিছে আর এক লাখ করে প্রতিমাসে দেয়, না হইলে গাড়ি বন্ধ। ময়মনসিংহের সব বালু আমার উনতনে (কাছ) থেকে যায়।

তখন পাশের একজনকে বলতে শোনা যায়,এই রিপোর্ট তো বাবুল (মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মঞ্জুর কাদের বাবুল খান) ভাই জানে।জবাবে খালেদ মাসুদ বলেন,বাবুল জানুক বা বাবুলের বাপ জানুকগা,তাতে আমার কী আসে যায়? আমি আমার হেডামে চলি। আমার নাম কইয়ে চান্দা (চাঁদা) তুলবার গেছিল,তিনজনকে আটকাইয়া থুইছি জেলখানার মধ্যে,আইজ দেড় মাস হইয়া গেল।আমার ক্ষমতা আছে,আমি আটকাইয়া থুইছি। আইজকে ক্ষমতা আছে দেহামু,কাল থাকব না, দেহামু না।ক্ষমতা কি চিরদিন থাকব? তখন পাশ থেকে আরেকজন বলেন,আমগোর এহন সিজন চলতাছে।